অবশেষে ঢাকায় অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দল

বাংলাদেশের নিরাপত্তা নিয়ে অস্ট্রেলিয়া বোধহয় একটু বেশিই চিন্তিত। না হলে এত নাটক করতো না। যাক, ধারাবাহিক নাটকের পর্ব শেষ হলো আজ! দীর্ঘ ১১ বছরের অধিক সময় পর বাংলাদেশে টেস্ট খেলতে আসলো টিম অস্ট্রেলিয়া। রাত ১০.৪০টার দিকে ঢাকার মাটি স্পর্শ করেছেন ওয়ার্নার-স্মিথরা। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে অস্ট্রেলিয়া দল আবাস গড়বে হোটেল রেডিসন ব্লু-তে।

২০০৬ সালে বাংলাদেশে দুই দলের সবশেষ টেস্ট ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এরপর আর কোনো টেস্ট খেলা হয়নি। টেস্টে চার নম্বর দল অস্ট্রেলিয়া। তবে সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাংলাদেশও করেছে উন্নতি। লড়াইয়ে নামার আগে ওজি দলনেতা সেই আভাসই দিলেন। ‘নিজেদের মাঠে বাংলাদেশ বেশ শক্তিশালী দল। আমি মনে করি, সিরিজটা চ্যালেঞ্জিং হবে। ওই কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারাটাও গুরুত্বপূর্ণ। তবে ভারত সফরের শিক্ষা বাংলাদেশে কাজে দেবে।’

৩২ জনের বিশাল বহর নিয়ে বাংলাদেশে এসেছে অস্ট্রেলিয়া। ৩২ জনের বহরে কারা রয়েছেন, এমন প্রশ্ন মনের মধ্যে ঘুরপাক খেতেই পারে। নিরাপত্তা ম্যানেজার তিনজন, বাবুর্চি ও একজন করে মনস্তাত্ত্বিক বিশেষজ্ঞ। বাবুর্চি শব্দটা পড়তে ধাক্কা খেলেও সত্যি যে, অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দল বাবুর্চি নিয়েই বাংলাদেশ সফরে আসছে। তবে এর আগেও অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দল বাবুর্চি নিয়ে বাংলাদেশ সফর করেছে।

টিম অস্ট্রেলিয়ার নিরাপত্তা ম্যানেজার শন ক্যারল এবং ফ্রান্সেসো ডিমাসি আগে থেকে ঢাকায়। আজ দলের সঙ্গে এসেছেন আরেক নিরাপত্তা ম্যানেজার রবার্ট অ্যালন সিমন্স, মনস্তত্ত্বিক বিশেষজ্ঞ মাইকেল লয়েড, বাবুর্চি অলটামাস ইকবাল, জাতীয় দলের নির্বাচক ট্রেভর হন্স, সহকারী জেনারেল ম্যানেজার প্যাটরিক হয়ার্ড, টিম ম্যানেজার গেভিন ডুভে, হেড কোচ ড্যারেন লেম্যান, হাই পারফরম্যান্স কোচ বার্ডলি হ্যাডিন, বোলিং কোচ রায়ান হ্যারিস, কোচিং কনসালটেন্ট শ্রীরাম শ্রীধরন, স্ট্রেন্থ এন্ড কন্ডিশনিং কোচ ওয়ারেন অ্যান্থনি, মিডিয়া ম্যানেজার কেট ইরিন, ডক্টর গিওফ্রে মার্ক, ফিজিওথেরাপিস্ট ডেভিড থমাস, ম্যাসেজ থেরাপিস্ট ক্যামেরুন মাইকেল এবং পারফরম্যান্স অ্যানালাইসিস্ট ডেনে হিলস। সঙ্গে স্টিভেন স্মিথের নেতৃত্বাধীন শক্তিশালী স্কোয়াড।

সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ২২-২৪ আগস্ট ফতুল্লা কিংবা বিকেএসপিতে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে তারা। ২৭-৩১ আগস্ট ঢাকায় প্রথম টেস্টে বাংলাদেশের মুখোমুখি হবে অস্ট্রেলিয়া। এরপর ৪-৮ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রামে শুরু হবে দ্বিতীয় টেস্ট।

উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে নিরাপত্তা শঙ্কায় বাংলাদেশ সফর বাতিল করে অস্ট্রেলিয়া। যদিও সে সময় ওজি দলকে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পর্যায়ের নিরাপত্তা সুবিধার প্রতিশ্রুতি দেয় বিসিবি। তারপরও অস্ট্রেলীয় ক্রিকেট দল বাংলাদেশ সফরে আসেনি। ২০১১ সালে বাংলাদেশ সফর করে অস্ট্রেলিয়া। সেবার এফটিপিতে পূর্ণাঙ্গ সিরিজ থাকলেও শুধু তিনটি ওয়ানডে খেলেই দেশে ফেরত যায় স্মিথরা।