অভিনয়ে সেরা বাঙালি জয়া

একের পর এক সাফল্যের পালক যোগ হচ্ছে জয়া আহসানের মুকুটে। কিছুদিন আগে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকে নেন ২০১৫ সালে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে সেরা অভিনেত্রীর সম্মাননা। দেশের প্রতি ভালোবাসা প্রদর্শনের কারণে প্রধানমন্ত্রী জয়াকে বিশেষ ধন্যবাদও দিয়েছেন। আর গতকাল শনিবার কলকাতার ওবেরয় হোটেলে বাংলাদেশের গুণী এই অভিনেত্রীর হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে একটি সম্মাননা। জয়ার হাতে সেরা অভিনেত্রী বাঙালির সম্মাননা তুলে দেন ভারতীয় অভিনেতা প্রসেনজিৎ।

অভিনয়ে সেরা বাঙালি নির্বাচিত হতে পেরে উচ্ছ্বসিত জয়া। তিনি বলেন, ‘আমি বাঙালি। এটাই আমার বড় পরিচয়। আমার এই পরিচয়কে এবিপি আনন্দ সম্মান জানিয়ে এবারের “সেরা বাঙালি” পুরস্কারে ভূষিত করেছে। আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, এ সম্মান পাওয়ার জন্য আমি এখনো পুরোপুরি যোগ্য নই। অভিনয় স্কুলে মাত্র অ, আ, ক, খ শিখতে শুরু করেছি। তারপরও যেকোনো স্বীকৃতি এটি অন্তত নিশ্চিত করে, আমি ভুল পথে নেই।’

জয়া এও বলেন, ‘হাজার বছরের বাঙালি সংস্কৃতির সমৃদ্ধি সাধনে যে শিল্পী ও সংস্কৃতিকর্মীরা ত্যাগ ও নিরলস কর্ম করে গেছেন, আমিও তাঁদের মতোই একজন নিরলস কর্মীমাত্র। আমার আগে এই সম্মানে যাঁরা ভূষিত হয়েছেন, তাঁদের কাতারে দেখতে পেয়ে নিজেকে ধন্য মনে করছি। সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, কবি জয় গোস্বামী, রামানন্দ বন্দ্যোপাধ্যায়, কৌশিকী চক্রবর্তী, বিভাস চক্রবর্তী, পি সি সরকার জুনিয়র, বাংলাদেশের অনুপ্রেরণা মাশরাফি বিন মুর্তজার পাশে দাঁড়িয়ে এ সম্মাননা গ্রহণ করতে পারাটা নিশ্চয়ই আমি মনে রাখব।’

এদিকে এমন অর্জনের জন্য আয়োজক এবং জুরিবোর্ডকে ধন্যবাদও জানিয়েছেন ‘রাজকাহিনী’র অভিনেত্রী জয়া। পাশাপাশি নিজের অভিনয়কর্মটি চালিয়ে নেওয়ার পথে যাঁরা তাঁকে প্রতিনিয়ত উৎসাহ ও অনুপ্রেরণা জুগিয়েছেন, তাঁদের প্রতিও কৃতজ্ঞ বাংলাদেশের এই অভিনেত্রী। তিনি বললেন, ‘বরাবরের মতো ধন্যবাদ দেব আমার কাজের সঙ্গে জড়িয়ে থাকা প্রতিটি শিল্পীকে, একজন নির্মাতা, চিত্রনাট্যকার, সহশিল্পী, রূপসজ্জাকর, চিত্রগ্রাহক, পোশাক পরিকল্পক, শিল্প নির্দেশক এবং অবশ্যই আমার দর্শকদের। আপনাদের নিঃস্বার্থ মায়ার টানেই আমি আমার সর্বস্ব দিয়েছি অভিনয়কে।’