‘আইফোন’ কিনতে কিডনি বিক্রি করা যুবকের করুণ পরিণতি!

২০১১ সালে যুবকটি ‘আইফোন-৪’ কেনার জন্য কিডনি বিক্রি করে দিয়েছিল। তামাম দুনিয়ায় খবরের শিরোনামে চলে এসেছিন ওয়্যাং। কিডনি বিক্রি করে ওয়্যাং পেয়েছিল ৩ হাজার ২০০ মার্কিন ডলার। ‘আইফোন-৪’ কিনেছিল সে। কিন্তু তারপর? সেই ওয়্যাং এখন সারা জীবনের জন্য শয্যাশায়ী। এখন তার উপলব্ধি, জীবনের চেয়ে বড় কিছুই নয়।

আসলে কিডনি বিক্রির সময় করা অপারেশন সফল হয়নি। তখন সে বোঝেনি। মহা আনন্দে ‘আইফোন-৪’ কিনেছিল। পরে সে খেয়াল করে অস্ত্রোপচারের ক্ষত শুকাচ্ছে না৷ এর সে চিকিৎসকের কাছে যায়। তারপর দেখা যায়, ক্ষতে সংক্রমণ হয়ে গেছে। সেই ইনফেকশন ছড়িয়ে গিয়েছে অন্য কিডনিতেও৷

ওয়্যাং এখন সম্পূর্ণ শয্যাশায়ী। চিকিৎসকেরা বলে দিয়েছেন, কোনো কাজ করতে পারবে না ওয়্যাং। কারণ বিশ্রামই তার অসুখের একমাত্র ওষুধ। ২০১১ সালে বাজারে আসে ‘আইফোন-৪’। সে বছর ওই ফোনটি ছিল সবচেয়ে ট্রেন্ডিং। তারপর ৭ বছর কেটে গেছে। এখন ‘আইফোন-১০এস’ চলে এসেছে বাজারে। আর ‘আইফোন-৪’-এর জন্য ওয়্যাংয়ের জীবনটাই শেষ হয়ে গেল।