আওয়ামী লীগ নিজেই একটা দুর্যোগ : রিজভী

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ নিজেই একটা দুর্যোগ। এদেরকে প্রতিহত করতে না পারলে দেশে শান্তি আসবে না।’

মঙ্গলবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে তিনি এ কথা বলেন। ‘বিচার বিভাগকে আক্রমণ করে আওয়ামী দুঃশাসনকে দীর্ঘায়িত করার ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলুন’ শিরেনামে এই মানববন্ধনের আয়োজন করে ‘অপরাজেয় বাংলাদেশ’ নামের একটি সংগঠন।

রিজভী বলেন, ‘গণবিরোধী শক্তি যখন কোনো রাষ্ট্র দখল করে রাখে সেই দেশে একটির পর একটি দুর্যোগ আসতেই থাকবে। একটি দুর্যোগ মোকাবেলার পরে আরেকটি চলে আসবে।’

আদালতের সঙ্গে আওয়ামী লীগের মল্লযুদ্ধ চলছে এমন দাবি করে রিজভী বলেন, ‘ষোড়শ সংশোধনী রায়ের পর্যবেক্ষণে জনগণের মনের কথা বলায় তাদের গায়ের জ্বালা শুরু হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে তাদের দলের প্রতিটি নেতারা তার সমালোচনা করছেন। শুধু তাই নয় তারা দুদক, এনবিআরকে তার বিরুদ্ধে লেলিয়ে দিয়েছেন।’

প্রধান বিচারপতির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক সম্পর্কবিষয়ক উপদেষ্টা গওহর রিজভীর সাক্ষাৎ নিয়ে বিএনপি নেতা রিজভী বলেন, ‘গওহর রিজভী কে আমরা তাকে চিনিও না। তার বাড়ি উত্তর প্রদেশে, তিনি ভালো করে বাংলা বলতে ও লিখতে পারেন না। তাকে প্রধানমন্ত্রী, প্রধান বিচারপতিকে ধমক দেয়ার জন্য পাঠিয়েছিলেন। সুশাসন ও ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য তিনি যাননি।’

গত ২২ আগস্ট প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার সঙ্গে দেখা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আন্তর্জাতিক সম্পর্কবিষয়ক উপদেষ্টা গওহর রিজভী।

প্রধান বিচারপতিকে জনতার আদালতে বিচার করা হবে আওয়ামী লীগ নেতাদের এমন বক্তব্যের তীব্র সমালোচনা করে রিজভী আহমদ বলেন, ‘আওয়ামী লীগের জনগণ, পুলিশ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ তারা একটি বিশেষ আদালত করে প্রধান বিচারপতির বিচার করতে পারবে। প্রকৃত জনগণ তো তাদেরকে বহু আগেই তালাক দিয়েছে। জনগণের আদালতে বিচার হবে তাদের যারা বিডিয়ার বিদ্রোহ থেকে শুরু করে অসংখ্য গুম, খুন করে বাংলাদেশকে রক্তাক্ত করেছে।’

মিয়ানমারে রোহিঙ্গা হত্যা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষ রোহিঙ্গাদের প্রতি সহানুভূতিশীল, শুধু এই সরকার নয়। রোহিঙ্গারা যখন মিয়ানমারে নির্যাতিত হয়ে সমুদ্র পার হয়ে বাংলাদেশে আসছে সীমান্তে তাদেরকে বাধা দেয়া হচ্ছে। তাদের কি বাঁচার অধিকার নেই? বিদেশি সংস্থাগুলোরও কোনো ভূমিকা দেখতে পাচ্ছি না।’

আয়োজক সংগঠনের চেয়ারম্যান ফরিদা মনি শহীদ উল্লার সভাপতিত্বে এবং এম জাহাঙ্গীর আলমের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন-এলডিপির সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন সেলিম, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মোহাম্মদ রহমত উল্লাহ, খালেদা ইয়াসমিন প্রমুখ।