আজব ব্যাপার, জ্যান্ত মাছ খেতে ছুটছে লক্ষ লক্ষ মানুষ!

আজব ব্যাপার, জ্যান্ত মাছ খেতে ছুটছে লক্ষ লক্ষ মানুষ! ‘মাছ প্রসাদ’। তাও আবার হয় নাকি! কিন্তু হায়দরাবাদে এরকমই হয়ে আসছে দিনের পর দিন। শুধু শহরের মানুষ নয়, সারা দেশের মানুষ এসে ভিড় করেন কিঞ্চিৎ প্রসাদের আশায়।

হায়দরাবাদের নমোপল্লী প্রদর্শনী গ্রাউন্ডের সামনে ‘মাছ প্রসাদের’ অপেক্ষায় মাঝ রাত থেকে এসে লাইন দেন মানুষ। কারণ এই ‘মাছ প্রসাদ’ হাঁপানির রোগীদের জন্য ‘মহৌষধ’। রোজ সকাল ৮.৩০ টা থেকে প্রসাদ বিতরণ শুরু হয়। একেবারে বিনামূল্যে।

১৮৪৫ সাল থেকে হায়দরাবাদের বথিনি গৌড় পরিবারের হাত ধরে চলে আসছে এই ধারা। প্রতি বছর বর্ষার শুরুতে ‘মৃগাশিরা কারতির’ রাতে এই ওষুধ বিতরণ করা হয়। এবছর প্রায় সাড়ে চার লক্ষ মানুষের ভিড়। তার জন্য ২০০ কিলোগ্রাম মাছের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

কাঁচা জ্যান্ত মাছের সঙ্গে একধরনের মিশ্রণ মিশিয়ে রোগীকে একেবারে মুখে পুরে ফেলতে হয়। না চিবিয়ে মাছটিকে গিলে ফেললেই রোগ উধাও। দাবি, নমোপল্লী পরিবারের। গিলে নেওয়ার পরে, জ্যান্ত মাছটি গলার শ্লেষ্মা দূর করে সোজা চলে যায় পেটে।

তবে এই পদ্ধতির সঙ্গে অনেকেই সহমত নন। ‘জন বিজ্ঞান বেদিক’ নামের একটি সংস্থা এই চিকিৎসা পদ্ধতির বিরুদ্ধে মানুষকে সচেতন করে। বহু বিজ্ঞানীও এর সমালোচনা করেন।

কিন্তু তবুও মানুষ ছুটে আসেন এই ওষুধের টানে। তাই রাজ্য সরকার এ বছর ভিড় সামলাতে নিরাপত্তার বিশেষ ব্যবস্থা করেছে।-এবেলা