আন্তর্জাতিক কুরআন প্রতিযোগিতায় সেরা বাংলাদেশি কিশোর

বৃহস্পতিবার ২১তম দুবাই আন্তর্জাতিক পবিত্র কুরআন প্রতিযোগিতায় (ডিআইএইচকিউএ) সেরা খেতাব জিতে নিয়েছেন বাংলাদেশের হাফেজ মোহাম্মদ তরিকুল ইসলাম। এ প্রতিযোগিতার ‘বিউটিফুল ভয়েস’ বিভাগের চতুর্থ পুরস্কারও অর্জন করেছেন ১৩ বছর বয়সী তরিকুল ইসলাম। প্রথম পুরস্কারের জন্য আড়াই লাখ দিরহাম পান এ কিশোর।

দুবাই প্রশাসনের শীর্ষ ব্যক্তিত্ব শেখ আহমদ বিন মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুম দুবাই সংস্কৃতি ও বিজ্ঞান সমিতির অডিটোরিয়ামে জাকজমকপূর্ণ এক অনুষ্ঠানে তরিকুল ইসলামসহ অন্যান্য বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন। এ অনুষ্ঠানে সৌদি আরবের বাদশাহ সালমানকে এ বছরে শ্রেষ্ঠ ইসলামী ব্যক্তিত্ব হিসেবেও সম্মাননা দেয়া হয়, বাদশাহর প্রতিনিধি সেটি গ্রহণ করেন। এ দিন এ প্রতিযোগীতা উপভোগ করতে দেশটির গণমান্য ব্যক্তিরা মিলনায়তনে উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি জাতীয় প্রতিযোগিতায় শীর্ষস্থান অর্জনের পর এ বাংলাদেশি কিশোর দুবাইয়ে ৮৯ জন প্রতিযোগীকে পিছনে ফেলে এ কৃতিত্ব দেখালেন। তার পরের স্থানে সেরা খেতাব অর্জন করেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিযোগী হুজাইফা সিদ্দিকী, তিনি পান দুই লাখ দিরহাম। সেই সাথে তিনি ‘বেস্ট ভয়েস’ ক্যাটাগরিতে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করেন।

তৃতীয় স্থান অধিকার করেন যৌথভাবে গাম্বিয়ার মোডউই জবি এবং সৌদি আরবের আবদুল আজিজ আল ওবায়দান এবং তিউনিশিয়ার রশিদ আলানি। তারা পুরস্কারের দেড় লাখ দিরহাম ভাগাভাগি করে নেন। এ প্রতিযোগিতায় দশম স্থান পর্যন্ত প্রতিযোগীদের পুরস্কৃত করা হয়েছে।

প্রথম আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ তরিকুল ইসলাম বিশ্বাসই করতে পারেননি নাম ঘোষণার উত্তেজনাময় মুহূর্তে তার নাম উচ্চারিত হবে।

‘আমি বিশ্বাস করতে পারছি না, এটি ঘটেছে। জানতাম যে, আল্লাহর রহমতে আমি ভাল পারফর্মেন্স করেছি। ভেবেছিলাম, শীর্ষ পাঁচজনের মধ্যে থাকব। কিন্তু একেবারে শীর্ষ পুরস্কার জেতা পুরাই অবিশ্বাস্য ঘটনা আমার জন্য। এই সাফল্য অর্জনে পিছনে আমার বাবা-মা এবং শিক্ষককে ধন্যবাদ জানাই।’ এভাবে অনুভূতি প্রকাশ করেন ঢাকার এক ইমামের সন্তান তরিকুল। গত বছর তিনি কুরআন মুখস্থ সম্পন্ন করেন, এতে তার মাত্র এক বছর সময় লেগেছে।

কুরআন বিষয়ে উচ্চতর পড়াশোনার ইচ্ছা প্রকাশ করে তরিকুল আরো বলেন, ‘আমি ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব মদিনা থেকে উচ্চতর ডিগ্রি নিতে চাই। সেই সাথে বড় হয়ে আমি কুরআনের প্রচারে ভূমিকা রাখতে চাই।’

এ বছর এ আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় ১০৩ জন হাফেজ অংশগ্রহণ করেন। দুর্বল পার্ফরমেন্সের কারণে শুরুতেই ১৩ জন প্রতিযোগী বাদ পড়েন।

সূত্র: গালফ নিউজ