আপন জুয়েলার্সের ৫টি শাখায় গ্রাহকের স্বর্ণ ফেরত দিচ্ছে শুল্ক গোয়েন্দা

আপন জুয়েলার্সে মেরামতের জন্য গচ্ছিত রাখা গ্রাহকের স্বর্ণ হস্তান্তর করতে সোমবার সকাল ১০টা থেকে আপন জুয়েলার্সের ৫টি শাখায় শুল্ক গোয়েন্দাদের ৫টি টিম নিয়োজিত রয়েছে।

আপন জুয়েলার্সের গুলশান-২ সুবাস্তু টাওয়ার, গুলশান ১ ডিসিসি মার্কেট, ধানমন্ডির সীমান্ত স্কয়ার, উত্তরা ও মৌচাক এই পাঁচটি শাখায় স্বর্ণ হস্তান্তর কার্যক্রম চালাচ্ছে গোয়েন্দারা।

ধানমন্ডির সীমান্ত স্কয়ারে আপন জুয়েলার্সের শো-রুমে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক মোহাম্মদ জাকারিয়ার তত্ত্বাবধানে গ্রাহকের স্বর্ণ হস্তান্তর প্রক্রিয়া চলছে। চ্যানেল আই অনলাইনকে তিনি বলেন, এই শাখার দেওয়া তথ্য মতে ৬৩ জন গ্রাহক স্বর্ণ মেরামত করতে দিয়েছেন। ২-১ জন করে গ্রাহক এর মধ্যেই আসতে শুরু করেছে।

গোয়েন্দারা গ্রাহকের রিসিপ্ট ও পরিচয়পত্র যাচাই করে স্বর্ণ হস্তান্তর করছে।

তবে গেন্ডারিয়া থেকে স্বর্ণ নিতে আসা আয়েশা খানম বলেন, মেরামতের জন্য স্বর্ণ দিয়েছিলাম। সেটা তো গলিয়ে ফেলা হয়েছে। বলা হয়েছিলো স্বর্ণের পরিমাণ টাকা দিয়ে দেওয়া হবে। এখন বলছে, মঙ্গলবার শুল্ক গোয়েন্দা অধিদপ্তরে এই বিষয়ে শুনানি আছে, তারপরে টাকা দেওয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হবে।

গত ২৮ মার্চ বনানীতে দ্য রেইনট্রি হোটেলে বন্ধুর মাধ্যমে এক জন্মদিনের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হন বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্রী। ওই ঘটনার ভিডিও ধারণ করে রাখে ধর্ষকরা।

যাদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে, তাদের একজন আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদ সেলিমের ছেলে সাফাত আহমেদ।

প্রাণনাশসহ বিভিন্ন হুমকি উপেক্ষা করে ঘটনার একমাসের বেশি দিন পর ওই দুই তরুণী ৪ মে বনানী থানায় ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করতে যান।

তবে থানা পুলিশ মামলা না নিয়ে তাদেরকে হয়রানি করে বলে অভিযোগ ওঠার ৪৮ ঘণ্টা পর ৬ মে ওই অভিযোগ লিপিবদ্ধ করে।

গত ১১ মে সাফাত ও তার বন্ধু সাদমান সাকিফকে সিলেট থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।