আবারও গ্রাম পোড়াচ্ছে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী

মিয়ানমারের রাখাইনে আবার রোহিঙ্গা গ্রাম পোড়াচ্ছে দেশটির সেনাবাহিনী। তাদের সহযোগী হয়েছে অন্যান্য নিরাপত্তা বাহিনী, এমনকি স্থানীয় লোকজনও। এই নিপীড়নের পর গত রোববার থেকে নতুন করে এসব গ্রামের মানুষ বাংলাদেশে আসতে শুরু করেছে। জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর আজ এক বিবৃতিতে এ কথা জানায়।

ইউএনএইচসিআর অনুমান করছে, মঙ্গলবার পর্যন্ত মোট ৫ লাখ ৮২ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। এর মধ্যে গত রোববার থেকে নতুন করে ঢল শুরু হওয়ায় অন্তত ১৫ হাজার মানুষ নতুন করে এসেছে।

কয়েক দিন ধরে মিয়ানমার-সংলগ্ন বাংলাদেশ সীমান্তে আছেন ইউএনএইচসিআরের মুখপাত্র জোসেফ সূর্য ত্রিপুরা। তিনি বলেন, ‘যেসব মানুষ আসছে, তাদের বেশ কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জেনেছি, অন্তত ছয় দিন পাহাড়-জঙ্গল পাড়ি দিয়ে তারা বাংলাদেশে এসেছে। এদের প্রায় সবাই এসেছে রাখাইনের বুথিডং থেকে।’

নিপীড়ন শুরু হওয়ার পরও এসব রোহিঙ্গা কেন থেকে গিয়েছিলেন? এর কারণ সূর্য ত্রিপুরাও এবার আসা রোহিঙ্গাদের জিজ্ঞেস করলে তারা জানায়, তারা ভেবেছিল হয়তো পরিস্থিতি শান্ত হয়ে যাবে। তাই জীবনের হুমকি এবং নানা রকম নিপীড়ন সহ্য করেও তারা থেকে গিয়েছিল। কিন্তু সম্প্রতি মিয়ানমারের সেনাবাহিনী এসব গ্রাম পুড়িয়ে দিতে শুরু করে। জীবন বাঁচাতে তাই তারা দেশান্তরী হয়।

আজ দেওয়া বিবৃতিতে ইউএনএইচসিআর নতুন করে রোহিঙ্গা ঢল শুরু হওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করে।

গত ২৫ আগস্ট রাখাইনে মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর কয়েকটি চৌকিতে হামলার পর সেখানে রোহিঙ্গাদের ওপর নিপীড়ন শুরু হয়। জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থা এবং একাধিক আন্তর্জাতিক সংস্থা রাখাইনে গণহত্যা চলছে বলে অভিযোগ করে।