আবার গো-রক্ষকদের তাণ্ডব, যুবককে মারধর করে পোড়ানো হল বাড়ি

ভারতের মোদি সরকার কেন্দ্রে ক্ষমতার আসার পর বেআইনি গরু হত্যা রুখতে উঠে পড়ে লেগেছে। পশুহাট বা পশু বাজারে মাংস খাওয়ার জন্য বা ধর্মীয় কারণে জবাই করার জন্য গবাদি পশু বিক্রিতে জারি হয়েছে নিধেষাজ্ঞা। আর এই নিষেধাজ্ঞা জারির পর থেকেই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বিশেষ করে বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে গো-রক্ষকদের তাণ্ডব উদ্বেগজনকভাবে বেড়েই চলেছে।

গত শনিবার হরিয়ানায় চলন্ত ট্রেনে এক যুবককে কুপিয়ে খুন করা হয়। মৃতের পরিবার দাবি করেছিল, গো-মাংস নিয়ে যাওয়ার অভিযোগে ওই যুবককে কুপিয়ে খুন করা হয়। আর এবার একই ঘটনা পুনরাবৃত্তি ঘটল দেশটির ঝাড়খণ্ড প্রদেশে। বাড়িতে মরা গরু পাওয়া গিয়েছে। এই অভিযোগ তুলে এক যুবককে বেধড়ক মারধর করা হল। জ্বালিয়ে দেওয়া হল বাড়ি। আক্রান্তকে বাঁচাতে গিয়ে হামলার মুখে পড়ে পুলিশও।

ঘটনাটি ঘটেছে দেশটির ঝাড়খণ্ড রাজ্যের রাঁচি থেকে প্রায় ২০০ কিমি দুরে এক প্রত্যন্ত গ্রামে। পুলিশ সময়মতো চলে আসায়, কোন মতে প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন উসমান আনসারি নামে ওই যুবক। গুরুতর আহত অবস্থায় ধানবাদের একটি হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি।

স্থানীয় এক পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, উসমান আনসারি ও তাঁর পরিবারের লোককে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময়ে পুলিশকে বাধা দেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পুলিশকে লক্ষ্য করে শুরু হয় পাথরবৃষ্টি। উত্তেজিত জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ গুলি চালায়। পূলিশের গুলিতে দু’জন স্থানীয় বাসিন্দা আহত হয়েছেন। তাঁদেরকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যদিকে, স্থানীয় বাসিন্দাদের পাথরবৃষ্টির মধ্যে পড়ে আহত হয়েছেন ৫০ জন পুলিশকর্মীও। ওই গ্রামে মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল পুলিশবাহিনী। তবে এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।

সূত্র : সংবাদ প্রতিদিন