‘আমাকে ভুল বুঝিয়ে ধর্মান্তরিত করা হয়েছিল’

ছিলেন হিন্দু পরিবারের মেয়ে৷ মগজ ধোলাইয়ের পর ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন তিনি৷ কিছুদিন পর অবশ্য স্বধর্মে ফিরে এসেছেন৷ ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের সর্ব দক্ষিণের রাজ্য কেরালার তিরুঅনন্তপুরমে। খবর দ্য হিন্দুর।

চলতি বছর জুলাই মাসে ২৩ বছর বয়সী ওই হিন্দু মেয়ে আথিরা সাংবাদিক সম্নেলন করে দাবি করেছিলেন স্বেচ্ছায় মুসলিম ধর্ম গ্রহণ করেছেন তিনি৷ আথিরা থেকে নাম পাল্টে হয়ে যান আয়েশা৷ অতি সম্প্রতি আরও একটি সাংবাদিক সম্নেলন ডাকেন আয়েশা৷ সেখানে তিনি তার প্রথম বয়ান থেকে ১৮০ ডিগ্রি সরে আসেন৷

তার দাবি, কিছু মুসলিম বন্ধু তার মগজ ধোলাই করে৷ ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে ভুল বোঝানো হয়৷ তার জেরেই তিনি হিন্দু ধর্ম ছেড়ে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন৷ তবে ভুল ভাঙতে বেশি সময় লাগেনি৷ এখন স্বধর্মে ফিরে এসেছেন ওই তরুণী৷

সেই তরুণী আরও দাবি করেন, ইসলামের উপর বেশ কিছু বই তাকে পড়তে দেওয়া হয়৷ তার কথায়, ‘সেই বইগুলিতে নরক নিয়ে যা বর্ণনা দেওয়া আছে তা পড়ে ভয় পেয়ে যাই৷ রাতের ঘুম উড়ে গিয়েছিল৷ খালি মনে হত ইসলাম ধর্ম গ্রহণ না করলে ওই নরক যন্ত্রনার মধ্যে দিয়ে আমাকে যেতে হবে৷’ তাকে ইসলাম ধর্ম প্রচারক জাকির নায়েকের বক্তব্য শুনতে বলা হয়৷

জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহে আথিরা বাড়ি ছাড়ার আগে ১৫ পাতার একটি চিঠি লিখে যায়৷ চিঠিতে সে লেখে ইসলাম নিয়ে পড়াশুনা করতে বাড়ি ছাড়ছে সে৷ এরপর নিজের নাম পরিবর্তন করে হয়ে যান আয়েশা৷ পরিবারের বাকি সদস্যদের ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করার জন্য জোরাজুরি করে সে৷ যদিও তার পরিবার ধর্ম পরিবর্তন করবে না বলে সাফ জানিয়ে দেয়৷

এদিকে মেয়েকে ফিরে পেতে চেয়ে পুলিশ-প্রশানের দ্বারস্থ হয় তার পরিবার৷ সব দিক খতিয়ে দেখে আয়েশার পরিবারকে জানানো হয়, যদি তাকে ইসলাম ধর্মের আচার আচরণ পালনে বাধা না দেওয়া হয় তবেই মেয়েকে তাদের হাতে তুলে দেওয়া হবে৷

তবে কিছুদিন পর নিজের ভুল বুঝতে পেরে আবার হিন্দু ধর্মে ফিরে আসেন৷ সাংবাদিকদের তিনি জানান, ‘নিজের ধর্মের প্রতি আমার অত বিশ্বাস ছিল না৷ ধর্মান্তরিত হওয়ার পর নিজের ভুল ভাঙে৷ এখন হিন্দু ধর্মের প্রতি আমার বিশ্বাস অনেক বেড়ে গিয়েছে৷’