আমাকে ‘মা’ ডেকে বাসায় ঢুকে ধষর্ণ করে

আনোয়ার মামা বাসায় ঢুকতে চাইলে আমি বলি, মামা বাসায় তো কেউ নেই, পরে আসেন। তখন তিনি মা মা ডেকে জোর করে আমার বাসায় ঢুকেন। আমাকে রোজা অবস্থায় ধষর্ণ করেন। আমি কাউকে কিছু বলিনি।

এসব কথা বলেছেন ফারজানা আক্তার (১৮)। তিনি স্বামী সোহান শরীফকে (২২) নিয়ে ধর্ষককে খুন করেছেন বলে পুলিশের কাছে স্বীকার করেছেন।

গত ৯ জুন রাজধানীর বাড্ডায় হত্যাকাণ্ডের আসামি স্বামী-স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ। বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) দুপুরে ডিএমপি ডিবির যুগ্ম-কমিশনার আব্দুল বাতেন এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান।

আব্দুল বাতেন জানান, জিজ্ঞাসাবাদে ফারজানা বলেছেন, ‘আনোয়ার মামার দোকানে ট্রেইলারের কাজ করতেন আমার স্বামী সোহান। আনোয়ার মামার পরিবার ও আমারা একসঙ্গে থাকতাম। হঠাৎ মামার পরিবারের সঙ্গে আমাদের ঝগড়া হয়। এরপর আমরা অন্য জায়গায় চলে যাই। আনোয়ার মামা অনেক ইয়াবা খেতেন।’

ফারজানা বলেন, আনোয়ার মামা আমাকে মা বলতেন। গত ৬ জুন আনোয়ার মামা আমাদের নতুন বাসায় যান। তিনি বাসায় ঢুকতে চাইলে আমি বলি, মামা বাসায় তো কেউ নেই পরে আসেন। তখন তিনি মা মা ডেকে জোর করে আমার বাসায় ঢুকেন। আমাকে রোজা অবস্থায় ধষর্ণ করেন। আমি কাউকে কিছু বলিনি। আমার স্বামী বাসায় এলে তাকে বলি, আমরা আর এখানে থাকবো না। সে বললো, কেন, কী হয়েছে? আমি বললাম, আনোয়ার মামা তোমাকে মেরে ফেলছে আমি স্বপ্ন দেখেছি।’

আব্দুল বাতেন আরও জানান, ‘ফারজানা বলেছেন, সোহানের স্ত্রী সোহানকে জড়িয়ে ধরে কান্না শুরু করেন। এরপর ফারজানা তার স্বামীকে ঘটনা খুলে বলেন। সিদ্ধান্ত নেন দুজনেই একসঙ্গে গলায় ফাঁসি দিয়ে আত্মহত্যা করবেন। আত্মহত্যার আগে আনোয়ারকে খুন করবেন। সেই পরিকল্পনা মতো ৯ জুন আনোয়ারকে বাসায় ইফতারের দাওয়াত দেন স্বামী-স্ত্রী। আনোয়ারকে ইয়াবা খেতে দেওয়া হয়। পরে তাকে দুজন মিলে ছুরি দিয়ে খুন করে গলায় রশি পেঁচিয়ে ঘরে ঝুলিয়ে রাখেন। তারাও মরতে চেয়েছিলেন। কিন্তু রক্ত দেখে ভয় পান স্বামী-স্ত্রী। পরে বাসা থেকে পালিয়ে যান তারা।