‘আমার ইমেজ নষ্ট হয়ে গেছে’

মাদক গ্রহণ ও কেনাবেচায় জড়িত থাকার অভিযোগে চলতি মাসের শুরুর দিকে দক্ষিণী চলচ্চিত্রের ডজনখানেক শীর্ষ অভিনেতার সঙ্গে জনপ্রিয় অভিনেত্রী চারমি কউরের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়। আগামী বুধবার তাকে তদন্তকারী দলের সদস্যরা জিজ্ঞাসাবাদ করবেন। ওইদিন নিজের আইনজীবীকে সঙ্গে রাখার ব্যাপারে ইতোমধ্যেই তিনি হায়দরাবাদ হাইকোর্টে আবেদন করেছেন।

লাস্যময়ী অভিনেত্রী কউর বলেন, ‘মাদকের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে দায়েরকৃত মামলায় অভিনেত্রী হিসেবে আমার ইমেজ একেবারে নষ্ট হয়ে গেছে।’ তদন্তকারীরা তার রক্ত, নখ এবং চুল সংগ্রহ করে নিয়ে যাওয়ার বৈধতার ব্যাপারেও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।

Bisk Club
নেশাদ্রব্য এলএসডিসহ অন্যান্য মাদক বিক্রির অভিযোগে এর আগে ১২ জনকে গ্রেফতার করে হায়দরাবাদ পুলিশ। সেই ১২ জনের মধ্যে হায়দরাবাদের স্কুল, কলেজের শিক্ষার্থীসহ ছিলেন নেশা জগতের মাফিয়া কেলভিন মাসকারেনহাস।

মূলত তার মোবাইল থেকেই দক্ষিণী চলচ্চিত্রের শীর্ষ কয়েকজন অভিনেতা, নির্মাতা ও কলাকুশলির সঙ্গে চারমি কউরের মোবাইল নম্বর পাওয়া যায়। তাদের সঙ্গে কথাও বলেছেন কেলভিন। তাদের সবাই মাদকের সঙ্গে জড়িত থাকার কথাও পুলিশকে জানিয়েছেন তিনি।

তবে কেলভিনের আইনজীবীর দাবি, কেলভিন পরিস্থিতির শিকার। দক্ষিণী চলচ্চিত্রের কাউকে চেনেন না কেলভিন। তার মোবাইলে এমন কোনো তথ্য থাকার কথা নয়, যাতে করে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করার বিষয় প্রমাণ হবে।

বিখ্যাত চলচ্চিত্রনির্মাতা পুরি জগন্নাথ, চলচ্চিত্র সঞ্চালক শ্যাম কে নাইডু, অভিনেতা সুব্বারাজু, তরুণ এবং নভোদ্বীপকে ইতোমধ্যেই কয়েক ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তবে তারা সবাই মাদক বিক্রেতার সঙ্গে নিজেদের সম্পৃক্ততার অভিযোগ নাকচ করে দিয়েছেন।

তদন্ত দলের প্রধান আকুন সাবহারওয়াল বলেন, আমরা সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী তদন্ত অব্যাহত রেখেছি। যেহেতু মাদক গ্রহণ, কেনাবেচা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। এ ব্যাপারে আইনানুযায়ী বিচারের আওতায় আসবেন তারা। তদন্ত পরিচালনার কারণে ফোনে হুমকি পাওয়ারও অভিযোগ করেন তিনি।

সূত্র : এনডিটিভি