আরও দুই দিন সময় পেলেন আপন জুয়েলার্সের মালিক

আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদ সেলিমকে তার সাড়ে ১৩ মণ স্বর্ণ ও ৪২৭ গ্রাম হীরার ব্যাপারে ব্যাখা দিতে আরও দুই দিন সময় দিয়েছেন শুল্ক গোয়েন্দা অধিপ্তরের মহাপরিচালক ড. মঈনুল খান।

মঙ্গলবার দুপুরে নিজ দপ্তরে অপেক্ষমাণ সাংবাদিকদের তথ্য নিশ্চিত করেন মহাপরিচালক।

ড. মঈনুল খান বলেন, ‘আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদ সেলিমকে আগামী ২৫ মে পর্যন্ত বাড়িয়ে দেয়া হয়েছে। আপন জুয়েলার্সের পক্ষ থেকে কোনো সময়ের আবেদন করেনি। তারপরেও আমরা স্ব উদ্যেগে তাদের সময় বাড়িয়ে দিয়েছি। যাতে আদালতে গিয়ে বলতে না পারে সময় পাইনি, সুযোগ পাইনি, কারণ এখন কোনো কিছু হলেই সেটা আদালতে চলে যাচ্ছে। সেখানে ন্যায় বিচারের জন্য অভিযোগ তোলার চেষ্টা করে। এই অভিযোগ যাতে তুলতে না পারে এটা আমরা রেকর্ড করছি।’

মহাপরিচালক বলেন, ‘ রেকর্ড করার পরে আমরা পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেব। আইনেই বলা আছে আমি সুযোগ দেব, সুযোগ গ্রহণ না করলে ফাইনাল ডিসপোজ।’

গত ২৮ মার্চ বন্ধুর সঙ্গে জন্মদিনের অনুষ্ঠানে গিয়ে ‘দ্য রেইনট্রি’ হোটেলে ধর্ষণের শিকার হন দুই তরুণী। ঘটনার ৪০ দিন পর গত ৬ মে বনানী থানায় ধর্ষণের অভিযোগে পাঁচজনকে আসামি করে একটি মামলা করেন এক তরুণী।

মামলার আসামিরা হলেন- আপন জুয়েলার্সের মালিকের ছেলে সাফাত আহমেদ, নাঈম আশরাফ, সাদমান সাকিফ, শাফাতের গাড়িচালক বিল্লাল ও তার দেহরক্ষী রহমত আলী। এরপর দেশের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে মামলার সব আসামিকে গ্রেপ্তার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

এরপর গত ১৪ ও ১৫ মে রাজধানীতে আপন জুয়েলার্সের ছয়টি বিক্রয় কেন্দ্রে অভিযান চালিয়ে প্রায় সাড়ে ১৩ মণ স্বর্ণ এবং ৪২৭ গ্রাম হীরা জব্দ করে শুল্ক গোয়েন্দারা। এর মধ্যে প্রথম দিনের অভিযানে চারটি বিক্রয়কেন্দ্রে জব্দ করা হয় ২৮৬ কেজি স্বর্ণালঙ্কার এবং ৬১ গ্রাম হীরা। আর দ্বিতীয় দিন প্রতিষ্ঠানটির প্রধান কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে জব্দ করা হয় ২১২ কেজি স্বর্ণালঙ্কার। সব মিলিয়ে জব্দ করা স্বর্ণের পরিমাণ ১৩ মণ ৩৫ কেজি।

এসব স্বর্ণের বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে গত ১৭ মে শুল্ক গোয়েন্দা অধিদপ্তরে যান আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদ সেলিম। সেদিন শুল্ক গোয়েন্দা অধিদপ্তরে হাজির হলেও আটক হওয়া সাড়ে ১৩ মণ স্বর্ণ ও ৪২৭ গ্রাম হীরার ব্যাপারে কোনো সঠিক ব্যাখ্যা দিতে পারেননি তিনি। এরপর তাকে আবারও তলব করা হয়। তিনি আজ মঙ্গলবার কোনো জবাব দিতে শুল্ক গোয়েন্দা অধিদপ্তরে আসেননি।