আরও বৃষ্টি হতে পারে, বন্দরে ৩ নম্বর সংকেত

নিম্নচাপের প্রভাবে বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। চট্টগ্রাম, মোংলা, পায়রা সমুদ্রবন্দর এবং কক্সবাজারে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ৩ নম্বর সতর্কসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সকাল আটটা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে চট্টগ্রাম, খুলনা, বরিশাল, ঢাকা, রংপুর বিভাগের কোথাও কোথাও ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে।

নোয়াখালী প্রতিনিধি জানান, নিম্নচাপের প্রভাবে নদী উত্তাল থাকায় আজ দ্বিতীয় দিনের মতো নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার সঙ্গে দেশের সব ধরনের নৌযোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। এতে ভোগান্তির মধ্যে পড়েছেন দ্বীপের বাসিন্দারা। হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ রেজাউল করিম মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, নিম্নচাপের প্রভাবে নদী উত্তাল থাকায় এবং আবহাওয়া দপ্তর থেকে ৩ নম্বর সতর্কসংকেত থাকায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নৌযান চলাচল বন্ধ থাকবে।

জেলা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আজরুল ইসলাম আজ বেলা সাড়ে ১১টায় বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় জেলা শহরে ১২০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। বর্তমানে যে পরিস্থিতি, তাতে আরও ব্যাপক বৃষ্টিপাতের আশঙ্কা করা হচ্ছে। নোয়াখালী শহরের বেশির ভাগ এলাকা পানির নিচে।

মাদারীপুর প্রতিনিধি জানান, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন সংস্থা (বিআইডব্লিউটিসি) জানায়, পদ্মা নদীতে স্রোতের কারণে মাদারীপুর-কাঁঠালবাড়ি নৌরুটে চলাচলকারী ফেরিগুলো দ্বিগুণেরও বেশি সময় নিয়ে চলাচল করছে। এ ছাড়া স্রোতের তীব্রতার কারণে ক্যামিলিয়া, কুসুমকলি, চামেলি, বীরশ্রেষ্ঠ জাহাঙ্গীর নামে চারটি ফেরির ইঞ্জিন নষ্ট হয়ে গেছে। ঘাট এলাকায় ছয় শতাধিক ছোট-বড় যানবাহন আটকে আছে। এতে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়েছে। দুর্ভোগে পড়েছেন এই রুটে চলাচলকারী দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার যাত্রী ও চালক।