আরসাকে ‘বিপজ্জনক’ বলে নিষিদ্ধ করল ফেসবুক

জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক মিয়ানমারের রাখাইনের সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা বিদ্রোহীদের সংগঠন আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মিকে (আরসা) নিষিদ্ধ করেছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হিংসা, বিদ্বেষমূলক পোস্ট ও সঙ্কট গভীর করতে দাবি-পাল্টা দাবি করে তথ্য ছড়ানোর অভিযোগে আরসাকে ‘বিপজ্জনক সংগঠন’ হিসেবে উল্লেখ করে নিষিদ্ধের কথা জানিয়েছে ফেসবুক।

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের সহিংসতার ঘটনায় তথ্য যুদ্ধের প্রধান হাতিয়ার হিসেবে সোশ্যাল নেটওয়ার্ক সাইটগুলোকে ব্যবহার করা হচ্ছে। রাখাইনে দেশটির সেনাবাহিনীর অভিযানে ৪ লাখ ২০ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা মুসলিম বাংলাদেশে পালিয়েছে। জাতিসংঘ মিয়ানমারের এই অভিযানকে জাতিগত নিধন হিসেবে উল্লেখ করেছে।

রোহিঙ্গা অ্যাক্টিভিস্টরা সংঘাতপূর্ণ এলাকার নির্মম দৃশ্যগুলো ফেসবুকে তুলে ধরছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। রাখাইনে মানবিক তৎপরতা এবং গণমাধ্যমের প্রবেশে কড়াকড়ি রয়েছে। তবে দেশটির সেনাবাহিনী এবং সরকার রাখাইন সঙ্কটের হাল-নাগাদ তথ্য প্রত্যেকদিন সরবরাহ করছে।

বুধবার ফেসবুকের একজন মুখপাত্র বার্তাসংস্থা এএফপিকে বলেন, আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মিকে নিষিদ্ধ করতে মিয়ানমার সরকার অনুরোধ জানায়নি।

ফেসবুকে আরসাকে নিষিদ্ধ করা হলেও টুইটারে সক্রিয় আছে আরাকানের রোহিঙ্গাদের স্বাধীনতাকামী এই সংগঠন। সহিংস গোষ্ঠীগুলোকে নিষিদ্ধ করতে ফেসবুকের যে নীতিমালা সেই আলোকেই আরসাকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

গত আগস্টে রাখাইনে মিয়ানমারের নিরাপত্তাবাহিনীর তল্লাশি চৌকিতে প্রাণঘাতী হামলার পর সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। মিয়ানমার সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে রাখাইনে রক্তাক্ত অভিযান চালানোর অভিযোগ উঠেছে। এই অভিযানে লাখ লাখ মুসলিম বাংলাদেশে পালিয়েছে। রাখাইনের বৌদ্ধ এবং হিন্দুরাও সহিংসতা থেকে পালিয়ে প্রতিবেশি বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে।