‘আলোর পথযাত্রী’ শিল্পী সবিতা চৌধুরী আর নেই

সবিতা চৌধুরী আর নেই। ‘আলোর পথযাত্রী’র এই নিস্তব্ধতায় থেমে গেলো ‘সুরের এই ঝর ঝর ঝরণা’। বাংলা গানের জনপ্রিয় এই সংগীতশিল্পী দীর্ঘদিন ক্যানসারে ভুগে অবশেষে বুধবার রাত পৌনে ৩টায় ভারতের মুম্বাইয়ের একটি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭২ বছর।

সবিতা চৌধুরীর বড় মেয়ে অন্তরা চৌধুরী ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, চিকিৎসার জন্য মাকে মুম্বাইয়ে নিজের কাছে নিয়ে আসেন। আর সবিতা চৌধুরী নিজেও জীবনের শেষ কয়েকটা দিন এই মেয়ের কাছেই থাকতে চেয়েছিলেন। জানুয়ারিতেই তার ফুসফুস ও থাইরয়েডে ক্যানসার ধরা পড়ে।

সবিতা চৌধুরীর জন্ম ১৯৪৫ সালে। ভারতীয় গণনাট্য সংঘের সদস্য হওয়ার পর অল্প দিনেই সামনে চলে আসেন তিনি। স্বামী কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী সলিল চৌধুরীর হাত ধরে সংগীতজগতে পা রাখেন। তবে স্বামীর পরিচয়ের বাইরেও নিজের স্বতন্ত্র গায়কির গুণে জয় করেছিলেন কোটি মন। তৈরি করেছিলেননিজের আলাদা পরিচয়।

সবিতা চৌধুরীর গাওয়া কয়েকটি আধুনিক গান কয়েক দশক ধরে জনপ্রিয় ছিল। বাংলা এবং হিন্দি ছবিতে তিনি প্লেব্যাক করেছেন অনেক গানে। স্বামীর কথা ও সুরেও তার বেশ কয়েকটি হিট গান রয়েছে। তার কণ্ঠে ‘সুরের সেই ঝর-ঝর-ঝরণা’, ‘প্রজাপতি প্রজাপতি’, ‘হলুদ গাঁদার ফুল’, ‘ঝিলমিল ঝিলমিল’, ‘এনে দে এনে দে ঝুমকা’-এর মতো অসংখ্য গান এখনও জনপ্রিয়। তার মৃত্যুতে শোকস্তবদ্ধ দুই বাংলার সংগীতাঙ্গন।