আল জাজিরা গুঁড়িয়ে দিতে চান আমিরাতের যুবরাজ

কাতারের সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার দোহার প্রধান কার্যালয়ে বোমা হামলা চালিয়ে উড়িয়ে দেয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীকে আহ্বান জানিয়েছিলেন সংযুক্ত আরব আমিরাত(ইউএই)’র যুবরাজ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল-নাহিয়ান। আফগানিস্তানে মার্কিন আগ্রাসন চলাকালীন সময়ে তিনি এই নির্দেশ দিয়েছিলেন বলে উইকিলিকসে প্রকাশিত গোপন নথি থেকে জানা গেছে।

বৃহস্পতিবার লন্ডন ভিত্তিক দ্য নিউ আররের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০০৩ সালে মার্কিন আগ্রাসনের গুরুত্ব বাড়াতে এবং আরব জনগণের মতামত নিরস করার প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে আল জাজিরা চ্যানেলটি বন্ধ করতে চেয়েছিলেন মোহাম্মদ বিন জায়েদ। এই কারণেই তিনি আল জাজিরা চ্যানেলে বোমা ফেলতে বলেছিলেন।

ফাঁস হওয়া নথিতে বলা হয়, কাতারের সাবেক আমির হামাদ বিন খলিফা আল থানি অভিযোগ করেছিলেন, তিনি একটি প্রতিবেদনে পেয়েছেন যেখানে মোহাম্মদ বিন জায়েদ মার্কিন সেনাপ্রধান জেনারেল ফ্রাঙ্কসকে আল জাজিরাতে বোমা ফেলার আহ্বান জানিয়েছিলেন। আরব আমিরাতের সাবেক আমির শেখ জায়েদ বিন সুলতান আল নাহিয়ানের সঙ্গে এক বৈঠকের সময় তিনি এ কথা বলেছিলেন। জায়েদ বিন সুলতান বর্তমান যুবরাজের পিতা।

কাতারের আমিরকে শেখ জায়েদ তখন বলেছিলেন, ‘আপনি কি তাকে(যুবরাজ) দোষারোপ করছেন।’

একই নথিতে বলা হয়েছে, মোহাম্মদ বিন জায়েদ আফগানিস্তানে যুদ্ধের সময় যুক্তরাষ্ট্রকে সাংবাদিকদের সঙ্গে থাকার বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা প্রদানের কথা বলেছিলেন। যাতে করে যুদ্ধে বেসামরিক নাগরিকতদের মৃত্যুর খবর প্রকাশিত না হয়।

আফগানিস্তান ও ইরাকে মার্কিন আগ্রাসনের সময় মার্কিন বাহিনী সেখানকার আল জাজিরা কার্যালয়ে হামলা চালিয়েছিল।তবে উভয়ই হামলা অনিচ্ছাকৃত ছিল বলে মার্কিন বাহিনী দাবি করেছিল।

২০০১ সালে মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় আল জাজিরা কাবুল কার্যালয় পুরোপুরি ধ্বংস করা হয়েছিল। ২০০৩ সালে ইরাকের বাগদাদে হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্র। এতে এক সাংবাদিক নিহত এবং বেশ কয়েকজন আহত হয়।

সৌদিসহ বেশ কয়েকটি আরব দেশের সঙ্গে যখন কাতারের সংকট চলছে তখনই এই তথ্য ফাঁস হলো।