আ.লীগের নির্বাচনী ইশতেহার তৈরির কাজ শুরু

তরুণদের জন্য ব্যাপক কর্মসংস্থান, গ্যাস-বিদ্যুৎ-জ্বালানি খাতে বিপ্লব, কৃষিখাতে প্রযুক্তির বহুমুখী ব্যবহারের প্রতিশ্রুতি নিয়ে তৈরি হচ্ছে আওয়ামী লীগের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ইশতেহার।

দলীয় নেতারা বলছেন, ভোটের মাঠে প্রচারণায় সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি তুলে ধরা হবে বিরোধীদের দুর্বলতার ফিরিস্তি। টানা তৃতীয়বারের জয় ধরে রাখতে এরই মধ্যে তৃণমূলে নির্বাচন পরিচালনা কমিটি গঠনের কাজও শুরু করেছে ক্ষমতাসীন দলটি।

রাজনীতির মাঠে দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচন নজর কাড়লেও, দলগুলোর লক্ষ্য একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এ লক্ষেই সাংগঠনিক নানা কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে সরকার পরিচালনাকারী দল আওয়ামী লীগ।

এরই মধ্যে ৪ বিভাগ এবং ৩ জেলায় প্রাক নির্বাচনী সভা শেষ করেছেন দলীয় প্রধান। শুরু হয়েছে ইশতেহার তৈরির কাজ। খুটিয়ে খুটিয়ে দেখা হচ্ছে নির্বাচনী প্রচারণার কৌশল।

আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো চেয়ারম্যান এইচ টি ইমাম বলেন, আমরা এখন অন্য কথা বলবো। ২০০৮-এ দিন বদলের কথা বলেছিলাম। সেই দিনবদলের প্রতিশ্রুতির সব আমরা ২০১৪ সালের মধ্যে অর্জন করে ফেলেছি। তারপর সামনে কিভাবে যাবো, সেই সমস্ত সব কথায় এবার থাকবে। আমরা এবার গ্রামীণ জনগোষ্ঠির কথা চিন্তা করছি।

ভিশন-২০৪১ অর্জনের লক্ষ্যে আওয়ামী লীগের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ইশতেহারে থাকবে কৃষি এবং কৃষিজাত পণ্যে প্রযুক্তির ব্যবহার ও তৃণমূলে প্রযুক্তি সহজলভ্য করার অঙ্গীকার। ক্ষমতাসীন দলের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির এ কর্মকর্তা বলছেন, নির্বাচনী অঙ্গীকারে সবচেয়ে গুরুত্ব পাবে তরুণরা।

আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ফারুক খান বলেন, পুরো বাংলাদেশকে বিদ্যুতের কভারেজে আনা। প্রতি মানুষের উন্নয়ন, এটিই হবে আমাদের টার্গেট।

দলের এই নীতিনির্ধারকরা জানান, হাইকমান্ডের নির্দেশে নির্বাচনকে সামনে রেখে এরই মধ্যে কাজ শুরু করেছে তৃণমূল।

জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে ১২ লাখ পোলিং এজেন্টের প্রশিক্ষণের কাজ শুরু করা হয়েছে বলেও আওয়ামী লীগ নেতারা।

দেশজুড়ে সাংগঠনিক সফর, বিভাগ ও জেলায় প্রাক নির্বাচনীসভাসহ বছরের শুরু থেকেই নির্বাচনমুখি নানা কর্মকাণ্ডে নির্বাচনের মাঠে সক্রিয় রয়েছে আওয়ামী লীগ।

সম্প্রতি নির্বাচন পরিচালনা কমিটি গঠন হবার পর দলীয় নেতারা বলছেন, ডিসেম্বরে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে লক্ষ্য রেখে ইশতেহার ঘোষণার ক্ষেত্রেও অন্য সব দলের চেয়ে এগিয়ে থাকতে চায় তারা।

যা থাকতে পারে ইশতেহারে:

১. দুর্নীতি নির্মূলের প্রতিশ্রুতি
২. কর্মসংস্থান সৃষ্টির প্রতিশ্রুতি
৩. কৃষি ও কৃষি পণ্যে প্রযুক্তির ব্যবহারের প্রতিশ্রুতি
৪. দেশের প্রতিটি মানুষকে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সুবিধার আওতায় আনার প্রতিশ্রুতি
৫. বিরোধীদের সমালোচনা
৬. জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস নির্মূলের প্রতিশ্রুতি