আ.লীগ ত্রাণের নামে ফটোসেশন করছে: রিজভী

‘বন্যার দুর্ভোগ থেকে মানুষকে পরিত্রাণ দেওয়ার জন্য সরকারের যে ধরনের কর্মতৎপরতা থাকা প্রয়োজন ছিল, সেটার কিছুই দেখি না। আমরা দেখছি ত্রাণ দেওয়ার নামে তারা শুধু শহরের আশপাশে দু-একটি জায়গায় যাচ্ছে, নামছে আর ফটোসেশন ও ভূরিভোজ সেরে চলে আসছে।’

আজ সোমবার কুড়িগ্রাম পৌর এলাকার ভেলাকোপর হানাগড় ও পাঁচগাছি ইউনিয়নে ত্রাণ দিতে এসে এ কথা বলেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

রিজভী বলেন, ‘অথচ বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির পক্ষ থেকে ত্রাণ কমিটি করা হয়েছে। এই কমিটি সারা দেশে যেখানে যেখানে বন্যা হয়েছে, সেখানে ছড়িয়ে পড়ছে। এই কর্মকাণ্ড জনগণের কাছে দৃশ্যমান।’

আজ ১ হাজার ২০০ পরিবারের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ করা হয়। এগুলোর মধ্যে ছিল পাঁচ কেজি করে চাল, আলু এক কেজি, ডাল-লবণ আধা কেজি করে, দেশলাই।

এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সভাপতি তাসভীর উল ইসলাম, সিনিয়র সহসভাপতি আবু বকর সিদ্দিক, শফিকুল ইসলাম, মোস্তাফিজার রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হোসনাইন কায়কোবাদ, সাংগঠনিক সম্পাদক নুর ইসলাম, জেলা যুবদলের সভাপতি রায়হান কবির, সাধারণ সম্পাদক নাদিম আহমেদ, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি আমিমুল ইসলাম প্রমুখ।

রিজভী বলেন, ‘সরকার বলছে দেশে উন্নয়ন হয়েছে। দেশে খাদ্যঘাটতি নেই। কিন্তু অর্থমন্ত্রী বলছেন দেশে খাদ্যঘাটতি রয়েছে। সরকার যা পরিচালনা করছে, তাদের কথার যে অসংগতি, সেই অসংগতির মধ্যে প্রমাণিত হয় এই দুর্গত মানুষকে পরিত্রাণ দেওয়ার জন্য সরকারের যে ধরনের কর্মতৎপরতা দেখানোর দরকার, সেটা আমরা কিছু দেখিনি।’

রিজভী বলেন, ‘শহীদ জিয়াউর রহমান বহুদলীয় গণতন্ত্রকে পুনরুদ্ধার করেছেন ৫ম সংশোধনীর মাধ্যমে। সেটিতে আওয়ামী লীগও নতুন জীবন পায়। কিন্তু আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেছেন, ১৯৪৯ সালে আওয়ামী লীগের জন্ম হয়েছে। ১৯৪৯ সালে আওয়ামী লীগের জন্ম হয়নি, হয়েছে আওয়ামী মুসলিম লীগের। এর প্রতিষ্ঠাতা মরহুম শেখ মুজিবুর রহমান নন। এর প্রতিষ্ঠাতা মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী। সুতরাং আওয়ামী লীগ নেতারা সব সময় বানোয়াট কথা বলে বিভ্রান্ত ছড়ান।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, প্রধান বিচারপতিকে চাপ দেওয়ার জন্য সরকার নানাভাবে কায়দাকানুন করছে। নানান ষড়যন্ত্রে করছে। কিন্তু প্রধান বিচারপতি তাঁর ন্যায়বিচারের জায়গায় এখনো দণ্ডায়মান আছেন। জনগণের যে আকাঙ্ক্ষা, সেই আকাঙ্ক্ষার প্রতি প্রধান বিচারপতি তাঁর অবস্থান ধরে রেখেছেন।