ইঁদুরের তাড়ায় পালালেন প্রেসিডেন্ট!

নাইজেরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুহাম্মাদু বুহারি তিন মাস তাঁর বাসভবনে বসে দাপ্তরিক কাজ করবেন। কারণ, তাঁর সরকারি দপ্তর ইঁদুরে নষ্ট করে ফেলেছে। গতকাল মঙ্গলবার বিবিসি অনলাইনের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়।

প্রায় তিন মাস পরে সবেই যুক্তরাজ্য থেকে দেশে ফিরেছেন বুহারি। সেখানে তিনি চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। তাঁর স্বাস্থ্য নিয়ে জনমনে ব্যাপক উদ্বেগ রয়েছে।

বাসায় বসে প্রেসিডেন্টের অফিস করার বিষয়ে একটি ব্যাখ্যা দিয়েছেন নাইজেরিয়া সরকারের মুখপাত্র গারবা শিহু। তাঁর ভাষ্য, প্রেসিডেন্টের অনুপস্থিতিকালে তাঁর সরকারি দপ্তরের আসবাব ও শীতাতপ নিয়ন্ত্রণব্যবস্থা নষ্ট হয়ে গেছে। ইঁদুর এ কাজ করেছে। এখন প্রেসিডেন্টের দপ্তর সংস্কার করতে হবে।

সরকারের মুখপাত্র বলেন, প্রেসিডেন্টের বাসভবনে পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধাসম্পন্ন একটি দপ্তর আছে। প্রেসিডেন্ট বুহারি সেখানে বসেই তাঁর সব দাপ্তরিক কাজ যথারীতি চালিয়ে যেতে পারবেন।

দীর্ঘ চিকিৎসা ছুটি কাটিয়ে গত শনিবার যুক্তরাজ্য থেকে দেশে ফিরেছেন বুহারি। দেশে ফেরার পর দেওয়া প্রথম বক্তৃতায় নিজের স্বাস্থ্যগত বিষয়ে কোনো কথা বলেননি তিনি।

বুহারির দীর্ঘ অনুপস্থিতির সময় নাইজেরিয়ানদের মধ্যে কেউ কেউ প্রেসিডেন্টের পদত্যাগ দাবি করেছেন। তাঁদের ভাষ্য, বুহারি দেশ চালাতে অক্ষম।

আবার বুহারির স্বাস্থ্যগত অবস্থা বা রোগের বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক কিছু না জানানোয় দেশটির অনেক মানুষ ক্ষুব্ধ।

বিরোধীদের দাবি, বুহারি প্রোস্টেট ক্যানসারের চিকিৎসা নিচ্ছেন। তবে এই দাবি অস্বীকার করেছেন প্রেসিডেন্ট।

বুহারির স্বাস্থ্য নিয়ে দুশ্চিন্তার কিছু নেই বলে দাবি করেছেন সরকারি মুখপাত্র গারবা। তাঁর ভাষ্য, প্রেসিডেন্ট ফুরফুরে মেজাজে আছেন। তাঁর সবকিছু ঠিকঠাক চলছে। তাঁর স্বাস্থ্য ভালোই।

বুহারির বাসায় বসে অফিস করার যে কারণ (ইঁদুর গল্প) সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তা নিয়ে সামাজিক মাধ্যম ব্যবহারকারীদের অনেকে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন।

বুহারির উপনাম ‘লায়ন প্রেসিডেন্ট’ (সিংহ প্রেসিডেন্ট)। ইঁদুরে তাঁর সরকারি দপ্তর নষ্ট করেছে বলে তাঁকে এখন বাসায় বসে অফিস করতে হবে—এমন অজুহাত শুনে অনেকে হাসিঠাট্টা ও বিদ্রূপ করছেন।

একজন টুইটারে লিখেছেন, ওরে কপাল, ইঁদুরও চায় না প্রেসিডেন্ট তাঁর দপ্তরে ফিরুক।

অবশ্য বুহারিকে অনেকে সমর্থনও করছেন।