ইংল্যান্ডকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিল বাংলাদেশ

প্রথম পাওয়ার প্লেতে শম্বুক গতি রান তুললেও বাংলাদেশ পরে এগিয়েছে দুর্দান্ত গতিতেই। ওভালে আজ চ্যাম্পিয়নস ট্রফির প্রথম ম্যাচে ৬ উইকেটে ৩০৫ রান তুলে ইংলিশদের সামনে বড় চ্যালেঞ্জই ছুড়ে দিয়েছেন তামিম-মুশফিকরা।

বাংলাদেশের বড় স্কোর পেয়েছে তামিম ইকবাল-মুশফিকুর রহিমের তৃতীয় উইকেটের ১৫১ বলে ১৬৬ রানের জুটি। ওয়ানডেতে বাংলাদেশের যেটি পঞ্চম সর্বোচ্চ জুটি। এশিয়ার বাইরে সর্বোচ্চ জুটির রেকর্ড। লিয়াম প্লাঙ্কেটের বলে জস বাটলারের গ্লাভসে ক্যাচ হওয়ার আগে তামিম করে গেছেন ১২৮ রান, ওভালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে যেকোনো দেশের ব্যাটসম্যানের এটাই সর্বোচ্চ। প্লাঙ্কেটের পরের বলেই উড়িয়ে মারতে গিয়ে লং অফে অ্যালেক্স হ্যালসের ক্যাচ হওয়ার আগে মুশফিকের রান ৭৯।

আট ব্যাটসম্যানের লম্বা ব্যাটিং লাইনআপ নিয়ে নামা বাংলাদেশ স্লগ ওভারের ঝড়টা বড় করতে পারলে স্কোরটাও বড় হতে পারত। শেষ ১০ ওভারে বাংলাদেশ তুলেছে ৮২ রান।

এর আগে দুর্দান্ত শুরুর পরও ইনিংস বড় না করে আউট হয়েছেন সৌম্য সরকার। ইনিংসের শুরুটা ধীর-লয়ে করেছিলেন তামিম ও সৌম্য। প্রথম ৪ ওভারে বাংলাদেশের রান ছিল ৬। ধীরে ধীরে খোলস থেকে বের হতে শুরু করেন দুই ওপেনার। সপ্তম ওভারের শেষ বলে জ্যাক বলের বলে স্কয়ার লেগে মঈন আলীর হাতে ১১ রানে অবশ্য জীবন পান সৌম্য।

কুড়িয়ে পাওয়া সুযোগটা খুব একটা কাজে লাগতে পারেননি বাঁহাতি ওপেনার, আউট হয়েছেন ২৮ রানে। ৩৪ বলে ৪টি চার ও এক ছক্কা মেরে। ৫৬ রানে থামে উদ্বোধনী জুটি। ওয়ানডেতে ইংলিশদের বিপক্ষে এ নিয়ে বাংলাদেশের ওপেনিং জুটি ৫০ পেরোল চতুর্থবার। আগের তিনটি ছিল তামিম-ইমরুলের। এই প্রথম সেটি তামিম-সৌম্যর।

ইংল্যান্ড সফরে এই প্রথম ওয়ানডে খেলতে নামা ইমরুলও টেকেননি খুব বেশি। ২০ বলে ১৯ রান করে উচ্চাভিলাষী শট খেলতে আউট হয়েছেন তিনে নামা ইমরুল। দলের ৯৫ রানে ইমরুলের বিদায়ের পর স্কোরটা যে ৩০০ পেরিয়েছে তাতে বড় অবদান তামিম-মুশফিকের। ব্যাটসম্যানদের এই চেষ্টা সফল করতে এখন ভালো করতে হবে বোলারদের।

সংক্ষিপ্ত স্কোর

বাংলাদেশ: ৫০ ওভারে ৩০৫/৬ (তামিম ১২৮, মুশফিক ৭৯, সৌম্য ২৮, সাব্বির ২৪, ইমরুল ১৯, সাকিব ১০, মাহমুদউল্লাহ ৬*, মোসাদ্দেক ২*; প্লাঙ্কেট ৪/৫৯, স্টোকস ১/৪২, বল ১/৮২)।

উইকেট পতন: ১-৫৬ , ২-৯৫ , ৩-২৬১, ৪-২৬১, ৫-২৭৭, ৬-৩০০।