ইরানি বিশ্বাসের লাঠিয়াল মৌসুমী হামিদ

‘লাঠিয়াল চরিত্রে অভিনয়ের জন্য মৌসুমির বিকল্প আমি কাউকে পাইনি। চমৎকার অভিনয় করেছেন তিনি। যেহেতু মৌসুমি চলচ্চিত্রের অ্যাকশন দৃশ্যে অনেক অভিনয় করেছেন, তাই তাঁর জন্য অভিনয় করতে সুবিধা হয়েছে।’ কথাগুলো বলছিলেন নাট্যপরিচালক ইরানি বিশ্বাস।

প্রথমবারের মতো মেয়ে লাঠিয়াল চরিত্রে একটি টেলিফিল্মে নামভূমিকায় অভিনয় করেছেন মৌসুমি হামিদ। টেলিফিল্মের নাম ‘লায়লা লাঠিয়াল’। এটি পরিচালনা করেছেন ইরানি বিশ্বাস। টেলিফিল্মে মৌসুমির অভিনয়ে মুগ্ধ হয়েছেন পরিচালক।

টেলিফিল্মটিতে মৌসুমির বিপরীতে অভিনয় করেছেন আরিফ অর্ক। এ ছাড়া এতে অভিনয় করেছেন মাহমুদুল ইসলাম মিঠু, শিরিন আলম, রিমু রোজা খন্দকার, আফফান মিতুল, ইমরান খান ইমু, রেশমী রেশমা প্রমুখ।

গাজীপুরের কালিয়াকৈরের জমিদারবাড়িসহ বিভিন্ন জায়গায় টেলিফিল্মটির শুটিং হয়েছে বলে জানান ইরানি বিশ্বাস।

টেলিফিল্মের গল্প প্রসঙ্গে ইরানি বিশ্বাস বলেন, ‘লাঠিয়াল সর্দারের মেয়ে থাকে লায়লা। ছোটবেলা থেকে বাবাকে লাঠি খেলতে দেখে বড় হয়েছে সে। লেখাপড়ায় মন না থাকলেও লাঠিখেলায় ছিল তার ভীষণ আগ্রহ। লায়লার ইচ্ছা ছিল, বাবার মতো নামকরা লাঠিয়াল হবে সে। কয়েকটি গ্রামে বাবার সঙ্গে লাঠিখেলায় অংশ নিয়েছে লায়লা। সে কখনো খেলায় হারে না।’

‘একবার মাধবপুর গ্রামের চেয়ারম্যান সিরাজ মোল্লা গ্রামের লোকদের বিনোদন দিতে লাঠিখেলার আয়োজন করে। সেখানে লায়লার প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে অংশ নেয় লাঠিরাজ মাহতাব শেখ। উপস্থিত দর্শককে অবাক করে মাহতাব শেখকে ধরাশায়ী করে বিজয়ীর হাসি নিয়ে বাড়ি ফিরে লায়লা। হঠাৎ গ্রামের চেয়ারম্যান সিরাজ মোল্লার একমাত্র ছেলে বাদশা লায়লাকে বিয়ে করার ইচ্ছা প্রকাশ করে। তখনই টেলিফিল্মের গল্প মোড় নেয়। লায়লার জীবনে আসে অনেক পরিবর্তন।’

টেলিফিল্মটি শিগগির একটি বেসরকারি চ্যানেলে প্রচারিত হবে বলে জানান পরিচালক ইরানি বিশ্বাস।