ইয়াহুর গ্রাহকদের তথ্য চুরি

চার বছর আগে ইয়াহু হ্যাকিংয়ের ঘটনায় প্রতিষ্ঠানের সব গ্রাহকই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। যদিও এর আগে এই হ্যাকিংয়ে শতকোটি গ্রাহক আক্রান্ত হয়েছেন বলে আনুমানিক হিসাব দিয়েছিল এক সময় ইন্টারনেট বাজারে আধিপত্য বজায় রাখা প্রতিষ্ঠানটি।

ইয়াহু হ্যাকিংয়ের ঘটনা ইতিমধ্যে ইতিহাসের বাজে সাইবার আক্রমণের ঘটনাগুলোর মধ্যে একটি হিসেবে বিবেচিত। তবে, এবার যে খবর প্রকাশ হল তাতে এটি আগে যা ধারণা পাওয়া গিয়েছিল তার চেয়ে অনেক বেশি গুরুতর হয়ে উঠেছে, এমনটাই বলা হয়েছে ব্যবসা-বাণিজ্যবিষয়ক মার্কিন সাইট বিজনেস ইনসাইডারের প্রতিবেদনে।

ভেরাইজন মালিকানাধীন ইয়াহু’র পক্ষ থেকে মঙ্গলবার বলা হয়, ২০১৩ সালে চালানো ওই সাইবার আক্রমণে প্রতিষ্ঠানটির তিনশ’ কোটি গ্রাহকই আক্রান্ত হয়েছিলেন।

এক বিবৃতিতে ইয়াহু বলে, ‘ইয়াহুকে ভেরাইজন কিনে নেয়ার পর ও একীভূত হওয়ার মুহূর্তে প্রতিষ্ঠানটি (ইয়াহু) সম্প্রতি নতুন তথ্য ও ধারণা পেয়ছে, বাইরের তদন্ত বিশেষজ্ঞদের সহযোগিতায় করা এক তদন্তে এই তথ্য বের হয়ে এসেছে যে, ২০১৩ সালের আগস্টে ইয়াহুর সব ব্যবহারকারীর অ্যাকাউন্ট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল।’

ব্যবহারকারীদের কাছ থেকে বেহাত হওয়া তথ্যের মধ্যে ফোন নাম্বার, জন্ম তারিখ, নিরাপত্তা প্রশ্ন ও উত্তর আর হ্যাশড পাসওয়ার্ড ছিল বলে নিজেদের ওয়েবসাইটে এক বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে জানিয়েছে ইয়াহু।

তবে, হ্যাকড তথ্যের মধ্যে ‘পরিষ্কার টেক্সট-এ পাসওয়ার্ড, লেনদেন কার্ডের তথ্য বা ব্যাংক অ্যাকাউন্ট তথ্য ছিল না’ বলে দাবি প্রতিষ্ঠানটির।

এদিকে মার্কিন সাইটটির প্রতিবেদনে বলা হয়, পাসওয়ার্ডগুলো এনক্রিপটেড অবস্থায় রাখতে ইয়াহু যে কৌশল অবলম্বন করেছিল তা পুরনো ছিল আর ওই ব্যবস্থা সহজেই ক্ষতিগ্রস্ত করা সম্ভব হবে বলে বিবেচিত হয়েছে।

হ্যাকিংয়ের শিকার হয়েছে বলে আগে শনাক্ত হয়নি এমন অ্যাকাউন্টধারীদের ই-মেইল নোটিফিকেশন পাঠানো হচ্ছে বলে জানিয়েছে ইয়াহু।