ঈদের দ্বিতীয় দিনও রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় হচ্ছে কোরবানি

ঈদুল আজহার দ্বিতীয় দিনেও রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় জবাই করা হচ্ছে কোরবানির পশু। ইসলামের বিধান অনুযায়ী ঈদের পর আরও তিন কোরবানি দেয়া যায়।

ঈদের দিনের বাড়তি চাপ ও কসাইয়ের সংকট থাকে। এছাড়া দ্বিতীয় দিনে আত্মীয়-স্বজন অনেকেই আসে। যারা একাধিক গরু কোরবানি দেন তাদেরও অনেকেই ঈদের দিনের পাশাপাশি পরের দিনও পশু জবাই করেন।

রাজধানী হাতিপুল এলাকায় মোতালেব টাওয়ারের সামনে রবিবার সকালে প্রায় ২০টি গরু কোরবানি দিতে দেখা যায়। কথা হয় এহসানুল কবিরের সঙ্গে। তিনি ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘ঈদের দিন যার যার বাড়িতে সবাই ব্যস্ত থাকে। আর আত্মীয়-স্বজন বেশির ভাগই আসে ঈদের দ্বিতীয় দিন। তাই আজ কোরবানি দিচ্ছি।’ পাশেই ছিলেন রফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘দুটি গরু কোরবানি দিয়েছি। একটি প্রথম দিন দিলাম আর আজকে দিলাম একটি।’

হাতিরপুলের হামিদ সরকার জানান, ঈদের দিন কসাইদের চাপ থাকায় আজ কোরবানি দিচ্ছেন তিনি।

রাজধানীর ভূতের গলি, গ্রিন রোড, সেন্ট্রাল রোড, সিআর দত্ত সড়কের বিভিন্ন জায়গায়ও পশু কোরবানি দিতে দেখা যায়।

পরিবাগে ২১ নম্বর ওয়ার্ডের ব্যানারসহ সিটি করপোরেশনের নির্ধারিত জায়গা দেয়া আছে। কিন্তু সেখানে একজনও কোরবানি দিচ্ছেন না। তাদের কথা হলো জায়গাটি ময়লা হয়ে রয়েছে, তাই তারা সেখানে পশু জবাই করছেন না।

মানিক সিকদার নামে একজন বলেন, ‘বাসায় সামনেই কোরবানি দিলাম। পাইপ দিয়ে রক্ত ধুয়ে দেব। সমস্যা হবে না। তা ছাড়া আজ আবহাওয়াও ভালো আছে। এর ওপর নির্ধারিত জায়গাটি ময়লা হয়ে আছে।’

তবে কাছেই ২১নং ওয়ার্ডের পরিচ্ছন্ন কর্মী রাজ্জাক হোসেন কাজ করছিলেন। তিনি বলেন, ‘নির্ধারিত স্থানে যদি তারা কোরবানি দিত তা হলে আমাদের ময়লা ফেলতে সুবিধা হতো না। রক্তের দুর্গন্ধ ছড়াতো না। এখানে জবাই করে চামড়া ছাড়িয়ে নিয়ে বাসার সামনে কাটলেই হতো।’

পুরান ঢাকার বেশির ভাগ এলাকায় দ্বিতীয় দিন পশু কোরবানি দিতে দেখা গেছে। বংশাল, ওয়ারী, টিকাটলী, চকবাজার, বাবুবাজার, বকশীবাজার, নাজিরা বাজার, রায়সাহেব বাজার এলাকায় রবিবার সকালে কোরবানির পশু জবাই করছেন অনেকেই। এছাড়া অভিজাত এলাকা গুলশান ও বারিধারাসহ অনেক এলাকায় আজ কোরবানি হচ্ছে।

পুরান ঢাকার বাসিন্দা রেহমান ছাবিদ বলেন, আমি ছোটবেলা থেকেই দেখে আসছি আমরা ঈদের পরদিন কোরবানি দিতাম। তাই আমিও দিচ্ছি।তা ছাড়া ঈদের দিন ঈদের নামাজ আদায়সহ বিভিন্ন ব্যস্ততা থাকে।