উজানের ঢলে সিলেটে লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দী

ভারতের বরাক নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় সিলেটের প্রধান ২ নদী সুরমা ও কুশিয়ারায় পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এ দুটি নদীর পানি ৫টি পয়েন্টে বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে নদী তীরবর্তী লক্ষাধিক মানুষ বিপাকে পড়েছেন। নদীর পানি উপচে পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন গ্রামে প্রবেশ করার পাশাপাশি অনেক স্থানে আঞ্চলিক সড়কও তলিয়ে গেছে। ফলে ব্যাহত হচ্ছে যোগাযোগ ব্যবস্থা।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী সুরমা নদীর পানি সিলেট ও কানাইঘাটে বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে করে এ দুই উপজেলাসহ পার্শ্ববর্তী জকিগঞ্জ, গোলাপগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে পানি প্রবেশ করেছে। এছাড়া কুশিয়ারা নদীর পানি আমলসীদ, শেওলা ও শেরপুরে বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ার কারণে জকিগঞ্জের মতো বিয়ানীবাজার, ফেঞ্চুগঞ্জ, ওসমানীনগর উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। সিলেটে সুরমা নদীর পানি বিপদসীমার ১ সেন্টিমিটার, কানাইঘাটে ৮৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়া আমলসীদে কুশিয়ারা নদীর পানি বিপদসীমার ১৩৮ সেন্টিমিটার, শেওলায় ৯৮ সেন্টিমিটার ও শেরপুরে ২৯ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের শহিদুল ইসলাম বলেন, সিলেটে সুরমা নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। উজানের ঢলের কারণে নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে।

বড়লেখা থেকে সিলেটগামী বাসের যাত্রী আবদুল হক বলেন, কুশিয়ারা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় সিলেটের সাথে বিয়ানীবাজারের যোগাযোগ ব্যবস্থা ব্যাহত হচ্ছে। বিয়ানীবাজারের মেওয়া এলাকায় নদীর পানি পানি উপচে আঞ্চলিক সড়ক প্লাবিত হয়ে পড়েছে। ফলে পানি কেটে গাড়ি যখন যাচ্ছিলো তখন গাড়ির ভেতরে পানি প্রবেশ করে। এলাকাবাসী গাড়ি যাতায়াতের সুবিধার্থে রাস্তার সীমানা চিহ্নিত করে লাল পতাকা টানিয়ে দিয়েছেন।

সরেজমিনে বিয়ানীবাজারে দেখা যায়, কুশিয়ারা নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ার কারণে নদীর দু’কূল উপচে পানি লোকালয়ে প্রবেশ করেছে। ফলে স্কুল, মসজিদেও পানি প্রবেশ করেছে। এছাড়া সিলেট-বিয়ানীবাজার আঞ্চলিক সড়কও পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় যান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে।