‘এই বাংলায় মেঘ ঘনালে ওই বাংলার মানুষ ছাতা ধরে’

দ্বিজাতি তত্ত্বের ভিত্তিতে ১৯৪৭ সালে ভাগ হয়ে যায় ভারতবর্ষ। জন্ম নেয় ভারত ও পাকিস্তান নামের আলাদা দুটি দেশ। একই ভাষাভাষি, কাছাকাছি সংস্কৃতির হয়েও শুধু রাজনৈতিক ঢামাঢোলে পশ্চিম বাংলা ও পূর্ব বাংলা ভাগ হয়ে পাকিস্তান ও ভারতের অংশ বনে যায়। পশ্চিম বাংলা ঠিক থাকলেও নানা পরিবর্তনের ভেতর দিয়ে ‘পূর্ব বাংলা’ রূপ নেয় স্বাধীন রাষ্ট্র বাংলাদেশে। এতো পরবির্তনের পরও ভারতের পশ্চিম বঙ্গ এবং বাংলাদেশের মধ্যে আত্মিক সম্পর্কটা রয়ে গেছে এখনো। আর সেটাই যেনো আরো একবার প্রমাণ করলেন বলিউডের বিখ্যাত অভিনেত্রী শর্মিলা ঠাকুর।

পশ্চিম বাংলার সঙ্গে ভাষার মিল ছাড়াও বাংলাদেশের রয়েছে সাংস্কৃতিক মিলও। ইতিহাস, রাজনীতির পট পরিবর্তন হলেও দুই বাংলার মধ্যে যে আত্মিক যোগাযোগ রয়েছে তা যেনো এখনো অটুট আছে। অন্তত বলিউডের প্রখ্যাত অভিনেত্রী শর্মিলা ঠাকুর তাই মনে করেন।

দেশের বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল এটিএন বাংলার ২১তম বর্ষপূর্তি ছিলো ১৫ জুলাই। আর সে উপলক্ষ্যেই শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা থেকে সরাসরি প্রচারিত হয় ‘শর্মিলা ঠাকুর-জিৎ গাঙ্গুলি-দোয়েল গোস্বামী লাইভ ইন ঢাকা’ শিরোনামের কনসার্ট। সেখানেই বাংলাদেশের সঙ্গে পশ্চিম বঙ্গের যে আত্মিক সম্পর্ক রয়েছে, তার কথা তুলে ধরেন শর্মিলা ঠাকুর।

লাইভ কনসার্টে নিজের বক্তব্যে শর্মিলা ঠাকুর বাংলাদেশের সঙ্গে পশ্চিম বাংলার সম্পর্কটা বোঝাতে তিনি বলেন, ঢাকা আমার প্রিয় শহর। যদিও ইতিহাস ও রাজনীতি আমাদের একটু ভাগ করে দিয়েছে, কিন্তু মনের টান এখনো রয়েছে। আর সেইজন্যই যখন এপাড়ের বাংলায় মেঘ ঘনায়, তখন ওপাড়ের বাংলায় অনেকে ছাতা ধরেন। আমি যেহেতু কলকাতায় বড় হয়েছি, দেখেছি সবার মনোভাবও এরকমই। আর সেজন্যই আমাদের ভাষা, ভালোবাসা, আমাদের শিল্প, রান্না বান্না, গান একটা নাড়ীর টানের মতো। সবকিছু একের সঙ্গে একটা যুক্ত রয়েছে।