এই মুনমুন কি সেই মুনমুন?

১৯৯৭ সালে ‘মৌমাছি’ ছবিতে অভিনয়ের মাধ্যমে চলচ্চিত্রাঙ্গনে প্রবেশ করলেও শিগগিরই তিনি বি-গ্রেডের চলচ্চিত্রের প্রধান নায়িকা হয়ে যান। প্রথমে পার্শ্বচরিত্রে অভিনয় করলেও এরপর নিজের রূপ দিয়ে জায়গা করে নেন তিনি নায়িকা চরিত্রে। একটানা ৪ থেকে ৫ বছর অভিনয় করেছেন ১০০টিরও বেশি চলচ্চিত্রে। ২০০৩ সাল থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত যে চলচ্চিত্র নির্মাণ হয় বা তিনি যে চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন তা সামাজিকভাবে অশ্লীল হিসেবেই বিবেচিত ছিল। মানে এই সময়টা চলচ্চিত্রের জন্য ছিল অশ্লীল সময়। আর মুনমুন ছিলেন অশালীন নায়িকা হিসেবেই পরিচিত। তার অভিনীত চলচ্চিত্র দেখতে টিকেটের লম্বা সিরিয়াল লাগত। সেই চিত্রও হয়তো অনেকের মনে আছে। তখনকার সময়ে তরুণরা দল বেঁধে দেখতে যেতেন চলচ্চিত্র। বিশেষ করে গ্রামের একদল তরুণ ছিল যারা নিয়মিত মুনমুনের চলচ্চিত্র দেখতে যেতেন।

কিন্তু ধীরে ধীরে পাল্টে যেতে থাকে চলচ্চিত্রের প্রেক্ষাপট ২০০৮ সাল থেকে। তরুণরা বড় হতে থাকে। আর কাজ কমে যেতে থাকে মুনমুনের। একসময় বাংলা চলচ্চিত্রে নিষিদ্ধ হয়ে যায় অশালীনতা। নিষিদ্ধ হোন মুনমুন। তারপর থেকেই মুনমুনকে আর তেমন একটা মিডিয়াতে দেখতে পাওয়া যায়নি। বর্তমান সময়ে খোঁজ নিয়ে জানা যায় তিনি উত্তরাতে বসবাস করছেন সপরিবারে। তবে বিয়েটা কিন্তু করেছিলেন ২০০৩ সালে।

বর্তমানে তিনি দুই সন্তানের মা। অভিনয় নেই তাই বলে জীবন থেমে থাকবে? নাহ থাকে না। আর তাই তো জীবিকার তাগিদে উত্তরা ছোট্ট একটি গার্মেন্টস দিয়েছেন। তাছাড়া চলচ্চিত্রে ফেরার আর কোন উপায় না থাকলেও তিনি এখন শীতকালে নিয়মিত যাত্রায় অভিনয় করেন। যাত্রায় নাকি টাকা আছে ভালো। আর এভাবেই কেটে যাচ্ছে তার জীবন।

মিডিয়ার সামনে এখন আর আগের মতো না আসলেও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তিনি মোটামুটি সরব আছেন। নিয়মিত সেলফি আপলোড করে থাকেন। কিন্তু হুট করে তার ভক্তকুল যদি দেখেন তাকে, তাহলে মনে প্রশ্ন জাগতেই পারে এই মুনমুন কি সেই নিষিদ্ধ মুনমুন?