এক একজন আইএস জঙ্গির বেতন শুনলে সত্যিই কপালে উঠবে চোখ!

আইএস জঙ্গিদের র্বরতার জন্য বেতন কেমন দেওয়া হয় তা নিয়ে নানা জল্পনা ও কৌতুহল ছিল। সেই জল্পনার অনেকটাই অবসান ঘটিয়েছে রাশিয়ার বার্তা সংস্থা স্পুৎনিক।

সম্প্রতি স্পুৎনিক এক্সক্লুসিভ কিছু তথ্য-প্রমাণ হাতে পেয়েছে। যাতে আইএস জঙ্গিদের বেতনের একটা তথ্যচিত্র পাওয়া যায়। সম্প্রতি ইরাকের ফেডারেল পুলিশ পশ্চিম মসুল থেকে ওই তথ্য উদ্ধার করেছে। এতে দেখা যাচ্ছে- আইএস জঙ্গিরা সবাই একই রকমের বেতন পায় না।

সন্ত্রাসীদের পারিবারিক মর্যাদা ও পরিবারের সদস্য সংখ্যার ওপর বেতন বেশি বা কম হওয়ার বিষয়টি নির্ভর করে। অবিবাহিত বা পরিবারের সদস্য সংখ্যা এক হলে সবচেয়ে কম ৭২ ডলার বা ৯৫ হাজার ইরাকি দিনার বেতন পায়। অন্যদিকে, ১৯৯১ সালে জন্মগ্রহণকারী আবু জানা নামে এক জঙ্গি গত মাসে বেতন পেয়েছে ১৮৪ ডলার। তার পরিবারে রয়েছে স্ত্রী ও তিন সন্তান। আবু নাসের নামে ১৯৬২ সালে জন্মগ্রহণকারী আরেক জঙ্গি গত মাসে বেতন পেয়েছে ২৫৬ ডলার। তার পরিবারে স্ত্রী ও ছয় সন্তান রয়েছে।

স্থানীয় একটি সূত্র স্পুৎনিককে জানিয়েছে, “আইএস জঙ্গিদের বেতন পারিপার্শ্বিক অবস্থার ওপর ভিত্তি করে কম বা বেশি হয়। সাধারণভাবে আইএস জঙ্গিদের পরিবারের সন্তান ও স্ত্রীর সংখ্যার ওপর ভিত্তি করে বেতন নির্ধারণ করা হয়। তবে সাধারণত কারও বেতন ৩০০ ডলারের বেশি নয়।

এদিকে, আইএস জঙ্গি গোষ্ঠীর নেতারা শুধু বেতনই নেয় না। তারা সাধারণ জনগণ থেকে লুটপাট ও চুরি করা অর্থও ভাগ বাটোয়ারা করে নেয়। তাদের বেতন ৫০০ ডলার কিংবা তার চেয়ে বেশি। তবে চলতি বছরে ইসলামিক স্টেট জঙ্গি গোষ্ঠী কিছুটা আর্থিক সংকটে পড়েছে কারণ কথিত আন্তর্জাতিক জোট তাদের ব্যাংকের ওপর বোমা হামলা চালিয়েছে। এই ব্যাংকের মাধ্যমেই তারা অর্থ লেনদেন করত।

গত বছর জঙ্গিদের ২০১৪ সালের বেতনের তালিকা প্রকাশ করেছিল স্পুৎনিক। ২০১৪ সালে জঙ্গিরা প্রথম ইরাকের নেনাভা ও আনবার প্রদেশ দখলে নিয়েছিল। সে সময় বিদেশি আইএস জঙ্গিদের জনপ্রতি বেতন ছিল ১,৩০০ ডলার। পাশাপাশি বিদেশি জঙ্গিদের একটি বাড়ি, একটি গাড়ি ও একজন স্ত্রী দেওয়া হতো।

এছাড়া, বিনামূল্যে গাড়ির জ্বালানি সরবরাহ করা হতো। তবে স্থানীয় আইএস জঙ্গিদের বেতন অনেক কম ছিল। তারা ৬০০ ডলারের মতো পেত। প্রথমদিকে এত বেশি বেতন দেওয়া সম্ভব হয়েছিল যে কারণে তা হচ্ছে- সে সময় ইরাকের বহুসংখ্যক তেলক্ষেত্র জঙ্গিদের দখলে চলে যায়। সেই সমস্ত তেলক্ষেত্র থেকে অপরিশোধিত তেল উত্তোলন করে তা প্রতিবেশী কোনও কোনও দেশে বিক্রি করত আইএস।-কলকাকা২৪।