এক বছরে ১৬৮৭টি সন্দেহজনক লেনদেন

এক বছরে ব্যাংক খাতে মানিলন্ডারিং, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদে অর্থায়নে এক হাজার ৬৮৭টি সন্দেহজনক লেনদেন হয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) প্রকাশিত বার্ষিক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংক এ প্রতিবেদন প্রকাশ করে। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, আর্থিক খাতে সন্দেহজনক বা অস্বাভাবিক লেনদেন বেড়েছে। ২০১৫-১৬ অর্থবছরে মানিলন্ডারিং, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদে অর্থায়নে এক হাজার ৬৮৭টি সন্দেহজনক লেনদেন হয়েছে, যা আগের অর্থবছরের চেয়ে ৫৯৩টি অর্থাৎ ৫৪ শতাংশ বেশি।

২০১৪-১৫ অর্থবছরে সন্দেহজনক লেনদেন হয় এক হাজার ৯৪টি।

বিএফআইইউ সূত্র জানায়, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদে অর্থায়ন, ঘুষ-দুর্নীতি বা বেআইনি কোনো লেনদেনের বিষয়ে সন্দেহ হলে ব্যাংক, আর্থিকপ্রতিষ্ঠান বা অন্যকোনো রিপোর্ট প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে স্থাপিত বিএফআইইউতে রিপোর্ট করতে হয়; যা সন্দেহজনক লেনদেন প্রতিবেদন (এসটিআর) হিসেবে বিবেচিত। একই সঙ্গে কোনো হিসাব থেকে দিনে ১০ লাখ টাকা বা এর বেশি লেনদেন হলে মাসিক ভিত্তিতে বাংলাদেশ ব্যাংকে রিপোর্ট পাঠাতে হয়। পরে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিএফআইইউ এ বিষয়ে খতিয়ে দেখে।

বার্ষিক রিপোর্টে বলা হয়, গত ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, বীমা, ক্যাপিটাল মার্কেট সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান এবং অর্থপ্রেরণ ও আনয়নকারী প্রতিষ্ঠান এক হাজার ৬৮৭টি এসটিআর করেছে। প্রতি মাসে গড়ে ১৪১টি করে এসটিআর বাংলাদেশ ব্যাংক পেয়েছে। আগের অর্থবছরে প্রতি মাসে এসটিআর আসে ৯১টি।

বাংলাদেশ ব্যাংকের বিএফআইইউ সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা বলেন, জঙ্গি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে অর্থায়ন, চোরাচালানসহ বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে ব্যাংকের মাধ্যমে নগদ টাকার লেনদেন বাড়ছে। একই সঙ্গে ব্যাংকগুলোতে সচেতনতা বাড়ায় সন্দেহজনক লেনদেনের রিপোর্টও বেড়েছে। সন্দেহজনক লেনদেনের সঙ্গে নগদ লেনদেন প্রতিবেদন (সিটিআর) জমার পরিমাণও বেড়েছে।

২০১৫-১৬ অর্থবছরে নগদ লেনদেনের (সিটিআর) এককোটি ২৭ লাখ রিপোর্ট পাঠিয়েছে ব্যাংক ও আর্থিকপ্রতিষ্ঠানগুলো। যার অর্থের পরিমাণ আট লাখ ৭৩ হাজার ৬২৪ কোটি টাকা। এক বছরের ব্যবধানে সিটিআর বেড়েছে ৭ দশমিক ৩০ শতাংশ।