এখনও সৌদি যেতে বাকি ৫০ হাজার হজযাত্রী

হজ ফ্লাইট শেষ হতে আর বাকি রয়েছে মাত্র ১০ দিন। কিন্তু এখনও প্রায় ৫০ হাজার হজযাত্রী সৌদি আরব পৌঁছাতে পারেননি। বাংলাদেশ থেকে গত ২৪ জুলাই হজ ফ্লাইট শুরু হয়, শেষ হবে আগামী ২৮ আগস্ট।

চলতি বছর পবিত্র হজ পালন করতে বাংলাদেশ থেকে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় মোট ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জনের কোটা নির্ধারিত রয়েছে।

ধর্ম মন্ত্রণালয় প্রকাশিত হজ বুলেটিনের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, পবিত্র হজ পালনে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ১১৮টি ও সৌদি এয়ারলাইন্সের ১২২টি ফ্লাইটসহ মোট ২৪০টি ফ্লাইটে গতকাল শুক্রবার পর্যন্ত মোট ৭৭ হাজার ৬৬৭ জন বাংলাদেশি সৌদি আরব পৌঁছেছেন। ফলে আগামী ১০ দিনে আরও ৪৯ হাজার ৫৩১ জন হজযাত্রী পরিবহন করতে হবে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ১৮ আগস্ট পর্যন্ত মোট ১ লাখ ২৪ হাজার ৭৮৪ জন বাংলাদেশির ভিসা সম্পন্ন হয়েছে। বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকায় সৌদি দূতাবাস ভিসা আবেদনের জন্য রোববার (২০ আগস্ট) পর্যন্ত সময়সীমা বাড়িয়েছে। তবে ভিসাপ্রাপ্তির তুলনায় সৌদিতে হজযাত্রী পৌঁছেছেন অনেক কম।

হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব) নেতারা জানিয়েছেন, গত ২ বছরে যারা হজ করেছেন তাদের অতিরিক্ত ২ হাজার রিয়েল ফি নির্ধারণ এবং মক্কা ও মদিনায় বিলম্বে বাড়ি ভাড়া করায় অতিরিক্ত মোনাজ্জেম ফি পরিশোধ, হজযাত্রী প্রতিস্থাপনে বিলম্বে ঘোষণাসহ নানা জটিলতায় ফ্লাইট শিডিউল থাকলেও যাত্রীর অভাবে ২ ডজনেরও বেশি ফ্লাইট বাতিল হয়েছে।

তবে আগামী ১০ দিনের মধ্যে অবশিষ্ট হজযাত্রীদের সবাই নির্বিঘ্নে সৌদি আরবে পৌঁছাতে পারবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আবদুল জলিল।

তিনি জানান, যেসব হজযাত্রীর ভিসা হয়েছে তারা সবাই হজ পালন করতে সৌদি পৌঁছাতে পারবেন। তবে কেউ ইচ্ছা করে না গেলে সেটা তার বা তাদের ব্যক্তিগত ব্যাপার।

সুষ্ঠু হজ ব্যবস্থাপনার স্বার্থে তারা সবকিছুই করবেন বলেও জানান ধর্মসচিব।

হজ বুলেটিন সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার মক্কায় বাংলাদেশ হজ অফিসে সৌদি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে সচেতনতামূলক এক ব্রিফিং সেশন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ সময় হজযাত্রীদের স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে বিভিন্ন টিপস দেওয়া হয়। পরে বিকেলে হজ প্রশাসনিক দল, চিকিৎসক এবং আইটি দলের সদস্যরা মিনা এবং আরাফাতের তাবু পরিদর্শন করেন।