এবার হজে সর্বোচ্চসংখ্যক বিদেশি

চলতি বছর পবিত্র হজব্রত পালন করছেন সর্বোচ্চসংখ্যক বিদেশি নাগরিক। সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে সৌদি গেজেট।

হজ পালনের জন্য ইসলামের পবিত্র নগরী মক্কা ও মদিনায় অবস্থানকালে ইতিহাসে সর্বোচ্চসংখ্যক বিদেশি নাগরিকদের জন্য পর্যাপ্ত সেবা ও নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছে সৌদি কর্তৃপক্ষ।

চলতি বছর হজ পালনের উদ্দেশ্যে সৌদি আসছেন গতবারের চেয়ে ২ লাখ ৬৪ হাজার অতিরিক্ত বিদেশি নাগরিক। গত বছর হজ করেছেন মোট ১৩ লাখ ২৫ হাজার ২৭২ জন বিদেশি নাগরিক; এ বছর সে সংখ্যা পৌঁছা্বে প্রায় ১৬ লাখে।

বর্তমানে পৃথিবীর সব প্রান্ত থেকে হজ পালনে সৌদি আসছেন বিপুলসংখ্যক মানুষ। এটা সম্ভব হয়েছে পবিত্র দুই নগরী মক্কা ও মদিনার জিম্মাদার সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজের কোটা সংস্কার নীতির কারণে।

হজ পালনে বিদেশিদের ওপর আরোপিত ২০ শতাংশ ও স্থানীয়দের ওপর ৫০ শতাংশ হ্রাসকৃত কোটা চলতি বছর থেকে প্রত্যাহার করেন সৌদি বাদশাহ। এতে এবার আরও ২০ শতাংশ বিদেশি হজের সুযোগ পান।

এর আগে ২০১২ সালে পবিত্র কাবা শরিফ ও কাবা ঘিরে গ্র্যান্ড মসজিদের সম্প্রসারণ কাজের জন্য কোটা ব্যবস্থা আরোপ করেছিল সৌদি। এতে হজে অংশগ্রহণ কমে যায়।

ইতোমধ্যে গত ১৭ আগস্ট পর্যন্ত মোট ৯ লাখ ১৬ হাজার ৫৬২ জন বিদেশি হজ করতে সৌদি পৌঁছেছেন। গত বছরের চেয়ে এ সংখ্যা ২২ শতাংশ অর্থাৎ ১ লাখ ৬৫ হাজার ১৩ জন বেশি।

সৌদির পাসপোর্ট অধিদফতরের তথ্যমতে, এখন পর্যন্ত হজে আসা বিদেশিদের মধ্যে আকাশপথে এসেছেন ৮ লাখ ৭৮ হাজার ৫৬৭ জন। এছাড়া স্থলপথে ৩৫ হাজার ২৩ জন এবং সমুদ্রপথে এসেছেন ২ হাজার ৯৭২ জন।

এদের মধ্যে হজ শুরুর আগে ৬ লাখ ৭ হাজার ৭১৫ জন মদিনায় গেছেন মহানবীর (সা.) কবর জিয়ারত করতে। সেখানে কয়েকদিন অবস্থান শেষে তারা মক্কায় ফিরবেন।

এদিকে, মক্কার গ্র্যান্ড মসজিদ ও মদিনার মসজিদে নববীতে গত শুক্রবার ১০ লাখেরও বেশি মানুষ পবিত্র জুমার নামাজ আদায় করেছেন। এর আগে জুমার খুতবায় গ্র্যান্ড মসজিদের ইমাম ও খতিব শেখ ফয়সাল বিন জামিল ঘাজ্জাওয়ী সমবেতদের উদ্দেশ্যে হজের জন্য প্রার্থনা ও আধ্যাত্মিক প্রস্তুতির কথা বলেন।

এছাড়া খুতবায় মসজিদে নববীর ইমাম ও খতিব শেখ আলী আল হুদাইফি মুসল্লিদের উদ্দেশ্যে হজ পালনে আধ্যাত্মিক ও পার্থিব অসীম ফজিলতের কথা বর্ণনা করেন।

অন্যদিকে সৌদির ইসলামী বিষয়ক মন্ত্রী শেখ সালেহ আল-আশেইখ এবারের হজে আগতদের জন্য সম্মেলনের আয়োজন করেন। এতে তিনি হাজিদের বিভিন্ন বিষয়ে বলেন। তিনি ৩২টি ভাষার সম্পাদিত লক্ষাধিক প্রকাশনা, বই, সিডি, চলচ্চিত্র এবং দাওয়া গণমাধ্যম উপাদান বিতরণের কথাও জানান।