ঐ দেখা যায় ফতুল্লা স্টেডিয়াম, খেলবে বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া!

দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলতে আসা অস্ট্রেলিয়া দল খেলবে দুই দিনের প্রস্তুতি ম্যাচ। আগামী ২২-২৩ আগস্ট বিসিবি একাদশের বিপক্ষে মাঠে নামবে তারা। শুরুতে প্রস্তুতি ম্যাচটি হওয়ার কথা ছিলো ফতুল্লার খান সাহেব ওসমানি স্টেডিয়ামে। কিন্তু প্রবল বর্ষনে তলিয়ে গিয়েছিল স্টেডিয়ামটি।

কোথায় হবে প্রস্তুতি ম্যাচ! এনিয়ে বার বার আজি ক্রিকেট বোর্ডের সাথে বার বার আলোচনা করতে হল টাইগারদের। কখনো বিকেএসপি কখনো সিলেট কখনো বা ইউল্যাবের মাঠ। তবে সব কিছু উপেক্ষা করে আবারও আশা জাগাল ফতুল্লা। স্টেডিয়ামের পানি শুকিয়ে গেছে। ফলে নতুন করে বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ার প্রস্তুতি ম্যাচ মাঠে গড়ানোর আশা করছেন কর্মকর্তা ও শ্রমিকেরা।

গতকাল (রোববার) বিকেলে সরেজমিনে খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়াম ঘুরে দেখা গেছে, মাঠের বাইরে অংশে এখন আর কোন পানি জমে নেই। চলাচলের রাস্তাও শুকিয়ে গেছে। তাছাড়া মাঠের পূর্ব দিকে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের পাশে পানি নিষ্কাশনের চারটি পাম্পের মধ্যে একটি সচল থাকলেও পানি না থাকায় বাকি ৩টি বন্ধ রাখা হয়েছে।

এছাড়াও মাঠে প্রবেশের রাস্তার ময়লা পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করার জন্য ৩০ থেকে ৩৫ জন শ্রমিক কাজ করে যাচ্ছেন। স্টেডিয়ামের ভিতরের মাঠেও ১৫ থেকে ২০জন শ্রমিক কাজ করছেন মাঠের স্যাতস্যাতে ভাব শুকানোর জন্য।

মাঠে কাজ করা শ্রমিকদের তদারক (সুপারভাইজার) মো. কামাল বলেন, গত পাঁচদিন ধরে মাঠের সবাই কঠোর পরিশ্রমক করে যাচ্ছি। যার ফলে পানি কমে গেছে। মাঠের মধ্যখানের খেলার পিচের অংশ শুকনো। তবে বাউন্ডারী রুফটায় পানি না থাকালেও স্যাতস্যাতে। এটা আগামী দুইদিন রোদ থাকালে শুকিয়ে যাবে তখন মাঠ সম্পূর্ণ খেলার উপযোগী হবে।

মাঠের আরেকজন সুপারভাইজার মো. আলী বলেন, ‘৪০ থেকে ৫০ জন শ্রমিক গত একমাস ধরে কাজ করছে। তাদের কাজ মাঠের পানি নিষ্কাশন করা। যেমন ড্রেন পরিস্কার, পানি যাওয়ার নতুন ড্রেন করা, রাস্তার শ্যাওলা, নোংরা আবর্জনা পরিস্কার করা। আর একদিন রোদ থাকলে মাঠে পানি ছিল সেটা কেউ বলতে পারবে না।’

স্টেডিয়ামের ইনচার্জ বাবুল মিয়া জানান‘ইতোমধ্যে অস্ট্রেলিয়ার প্রতিনিধি দল ঘুরে দেখে গেছে। তারা সাংবাদিকদের জানিয়েছেন বৃষ্টি না হলে এখানে খেলতে তাদের কোন সমস্যা নেই। আর আমরাও অফিসিয়াল ভাবে কোন খবর পাইনি যে এখানে খেলা হবে না। আগামী দিনগুলো বৃষ্টি না থাকলে আশা করছি এখানে প্রস্তুতি ম্যাচ হবে।’