কমেছে পাসের হার, জিপিএ-৫

শনিবার সারাদেশে একযোগে প্রকাশিত পঞ্চম (পিইসি) ও অষ্টম শ্রেণির (জেএসসি/জেডিসি) সমাপণী পরীক্ষার ফলাফলে পাসের হার ও জিপিএ ৫ উভয়ই গত বছরের চেয়ে কমেছে।

প্রশ্নফাঁসের ব্যাপক অভিযোগের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত এ পরীক্ষা দুটিতে পাসের হার ও জিপিএ-৫ এর এ নিম্নগতি সম্পর্কে তেমন কোনো ব্যাখ্যা দিতে পারেননি প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার এবং শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।

পঞ্চম শ্রেণির সমপানীতে এবার মোট ৩০ লাখ ৯৬ হাজার ৭৫ জন অংশ নিয়ে প্রাথমিকে পাস করে ৯৫ দশমিক ১৮ শতাংশ ও ইবতেদায়ীতে ৯২ দশমিক ৯৪ শতাংশ।

এর মধ্যে প্রাথমিকে জিপিএ-৫ পেয়েছে ২ লাখ ৬২ হাজার ৬০৯ জন। আর ইবতেদায়ীতে ৫ হাজার ২৩ জন পূর্ণ জিপিএ পেয়েছে।

গত বছর প্রাথমিক সমাপনীতে ৯৮ দশমিক ৫১ শতাংশ ও ইবতেদায়ীতে ৯৫ দশমিক ৮৫ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছিল। প্রাথমিকে জিপিএ-৫ পেয়েছিল ২ লাখ ৮১ হাজার ৮৯৮ জন।ইবতেদায়ীতে পাশ করে ৫ হাজার ৯৪৮ জন।

এই হিসাবে এবার পঞ্চম শ্রেণির এই সমাপনী পরীক্ষায় পাসের হারের সঙ্গে পূর্ণ জিপিএ পাওয়া পরীক্ষার্থীর সংখ্যা গতবারের চেয়ে কমেছে।

অষ্টমের সমাপনী পরীক্ষায় এবার অংশ নিয়েছিল ২৪ লাখ ৬৮ হাজার ৮২০ জন শিক্ষার্থী। আট শিক্ষা বোর্ডের অধীনে জেএসসিতে এবার পাসের হার ৮৩ দশমিক ১০ শতাংশ। আর মাদ্রাসা বোর্ডের অধীনে জেডিসিতে পাসের হার ৮৬ দশমিক ৮০ শতাংশ। সম্মিলিতভাবে এক লাখ ৯১ হাজার ৬২৮ জন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছে । এর মধ্যে জেএসসিতে এক লাখ ৮৪ হাজার ৩৯৭ জন এবং জেডিসিতে সাত হাজার ২৩১ জন পূর্ণ জিপিএ পেয়েছে।

জেএসসি-জেডিসিতে গত বছর পাশের হার ছিল ৯৩ দশমিক ০৩ শতাংশ। এর মধ্যে জেএসসিতে ৯২ দশমিক ৮৯ শতাংশ এবং জেডিসিতে ৯৪ দশমিক ০২ শতাংশ জিপিএ ৫ পাওয়া শিক্ষার্থী ছিল দুই লাখ ৪৭ হাজার ৫৫৮ জন। যা গতবারের চেয়ে অনেক কম।

দুপুরে পরীক্ষার ফল প্রকাশ নিয়ে সচিবালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে পাসের হার এবং জিপিএ ৫ এর নিম্মগতি নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার বলেন, ‘ফলাফল ও জিপিএ-৫ গতবারের তুলনায় কম কেন, সে বিষয়ে এখনই ব্যাখ্যা দেওয়া সম্ভব নয়। ফল খারাপ হওয়ার কারণ জানতে আমরা কাজ করব। জাতি এর উত্তর জানতে পারবে।

সচিবালয়ে বেলা ১টায় প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী এবং দুপুর ২টায় শিক্ষামন্ত্রী সংবাদ সম্মেলন করে বিস্তারিত ফল প্রকাশ করেন। সংবাদ সম্মেলনের পরই শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট ও যেকোনো মোবাইল থেকে এসএমএস করেও ফল জানা যাচ্ছে। এর আগে গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে ফলের অনুলিপি তুলে দেন দুই মন্ত্রী।

১ নভেম্বর থেকে ১৮ নভেম্বর পর্যন্ত জেএসসি ও জেডিসি এবং ১৯ থেকে ২৬ নভেম্বর পর্যন্ত অনুষ্ঠিত প্রাথমিক ও ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় অনুষ্ঠিত হয়।