কর্মকর্তাদের ওপর ক্ষোভ ঝাড়লেন বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী

সময়মতো বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ না করায় সংশ্লিষ্টদের ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। শুক্রবার চট্টগ্রাম নগরের আগ্রাবাদে অবস্থিত বিদ্যুৎ ভবনে চারটি বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগের প্রি-পেমেন্ট মিটারিং ভেন্ডিং স্টেশনের উদ্বোধন করতে এসে তিনি পিডিবির কর্মকর্তাদের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে অসন্তোষ প্রকাশ করেন।

চট্টগ্রাম নগরে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) সব সাবস্টেশনে ট্রান্সফরমার ও কেব্‌ল (তার) মাটির নিচে স্থাপনের কাজ দ্রুত শুরু করার তাগিদ দিয়ে নসরুল হামিদ বলেন, ‘মাটির নিচে সাবস্টেশন, ট্রান্সফরমার ও কেব্‌ল স্থাপন প্রকল্প বহুদিন আগের। বারবার বলে আসছি, কিন্তু আপনারা এক বছর ধরে হারিকেন দেখাচ্ছেন। বলে আসছেন কনসালট্যান্ট (পরামর্শক) নিয়োগ করছি। এভাবে চলবে না। আমি আর এই অবস্থা দেখতে চাই না। চট্টগ্রামে আগামী মাস থেকে কনসালট্যান্ট কাজ শুরু করবে। তিন মাসের মধ্যে ডিজাইন (নকশা) দেবে। না হলে এখানকার চিফ ইঞ্জিনিয়ারকে দেখে নেব।’

এ সময় শম্বুকগতিতে প্রি-পেইড মিটার স্থাপন করার কাজে অসন্তোষ প্রকাশ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমি গত তিন বছরে আপনাদের অনেকবার বলেছি। কিন্তু প্রি-পেইড মিটার লাগাতে আপনাদের অনিচ্ছা। তিন বছরে লাগালেন এক লাখ। অথচ গ্রাহক আছে সাত লাখ। আগামী বছরের মার্চের মধ্যে আমি সাত লাখ প্রি-পেইড মিটার দেখতে চাই।’

নসরুল হামিদ বলেন, ‘প্রি-পেইড মিটার লাগানোর বিষয়টি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ডিরেকশন (নির্দেশনা)। এতে আপনারা ফেল (ব্যর্থ) করেছেন। ৫% সিস্টেম লস যায় কই? আপনাদের অনীহার কারণটা কী? ৫% আপনারা কমাতে চান না? মানুষ কী বুঝবে? এই ৫% করাপশন (দুর্নীতি) হয়।’

পিডিবির গ্রাহকসেবা ও বিদ্যুৎ বিতরণব্যবস্থা ঢেলে সাজানোর তাগিদ দিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, পিডিবি অফিসে কোনো গ্রাহক সমস্যা নিয়ে ফোন করলে নির্বাহী প্রকৌশলী ইচ্ছে হলে কথা বলেন, ইচ্ছে না হলে বলেন না। কখনো তাঁর পিয়ন ফোন ধরেন। তিনি বলেন, ‘যে কাস্টমার (গ্রাহক) আপনাকে বিল দিচ্ছেন, তাঁর সঙ্গে আপনার এই ব্যবহার? অথচ তাঁদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে বেতন পাচ্ছেন আপনি। গ্রাহকসেবা ও ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (বিতরণ কোম্পানি) ব্যবস্থা ঢেলে সাজানো দরকার।’

পরে প্রতিমন্ত্রী চট্টগ্রামের চারটি বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগের প্রি-পেমেন্ট মিটারিং ভেন্ডিং স্টেশনের উদ্বোধন করেন।