কলকাতা থেকে ঢাকাগামী বাসের সেবা নিয়ে যাত্রীদের ক্ষোভ

কলকাতা থেকে ঢাকাগামী বাসের সেবা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন যাত্রীরা। শনিবার সকালে কলকাতা থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে একটি বাস ছাড়ে। প্রতি যাত্রীর কাছ থেকে ১৪০০ রুপি করে ভাড়া নেওয়া হয়।

ঠিক ছিল ওই বাসটিই সরাসরি পেট্রাপোল-বেনাপোল সীমান্ত পার করে সরাসরি ঢাকায় নিয়ে যাবে। কিন্তু সল্টলেক ছেড়ে উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার হাবড়া অঞ্চলের কাছাকাছি আসতেই চালক ও সুপারভাইজার জানান তাদের গাড়িটি পেট্রাপোল পর্যন্তও যাবে না।

এরপর ক্ষিপ্ত হয়ে যাত্রীরা গাড়ির চালক, সুপারভাইজার ও সহকারীকে এ ঘটনার কারণ জিজ্ঞাসাবাদ করেন। একসময় চালকের লাইসেন্স ও গাড়ির কাগজপত্র দেখতে চায়। কিন্তু তা দেখাতে অসমর্থ হয় চালক।

বাপি নামে ওই চালক নিজেই জানান, ড্রাইভিং লাইসেন্সটি তিনি বাড়িতে ফেলে এসেছেন। শুধু তাই নয় গাড়ির বীমাসহ অন্য কাগজপত্রের মেয়াদও পুরোনো বলে অভিযোগ ওঠে।

সকালের দিকে নিম্নমানের খাবারের প্যাকেট বিতরণ করা নিয়েও যাত্রীদের একাংশ অসন্তোষ প্রকাশ করেন। তাদের দাবি, এত বেশি পরিমাণ অর্থ দেয়ার পরও সেবা অত্যন্ত নিম্নমানের। এরপরই উওেজিত যাত্রীরা বাসের ভাড়া ফেরত চান। কিন্তু বাস কর্তৃপক্ষ তা ফেরত দিতে অস্বীকার করায় তারা চালক ও সুপারভাইজারকে স্থানীয় হাবড়া থানায় নিয়ে যান।

হাবড়া থানার আইসি মৈনাক ব্যানার্জি জানান যেহেতু এটি একটি আন্তর্জাতিক বিষয়, তাই অভিযোগ জানাতে হলে পেট্রাপোল থানাতেই অভিযোগ জানাতে হবে। বাস কর্তৃপক্ষ ও যাত্রী-দুই পক্ষকেই নিজেদের মধ্যে সমস্যা মিটিয়ে নেওয়ার পরামর্শ দেন পুলিশের ওই কর্মকর্তা।

বাসটির সুপারভাইজার জানান, তাদের যে বাসটি ঢাকা থেকে কলকাতায় পৌঁছে ফের ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওযার কথা, সেটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ায় আমাদের অন্য একটি বাসের ব্যবস্থা করতে হয়েছে। এই বাসটিতে করে যাত্রীদের সীমান্ত পর্যন্ত পৌঁছে দেওয়া হবে। তারপর সীমান্তের ওপার থেকে আমাদের আরেকটি বাস ঢাকায় পৌঁছে দেবে। তার জন্য অতিরিক্ত ভাড়া লাগবে না বলেও জানান সুপারভাইজার।

যদিও পরবর্তীতে ওই বাসটি পেট্রাপোলের দিকে রওনা দেয়। যাত্রীদের পক্ষ থেকে পশ্চিমবঙ্গের বনগাঁর পেট্রাপোলের অভিবাসন দপ্তরে অভিযোগ জানানো হবে বলে জানা গেছে।