কলকাতা দেখিয়ে দিল ঢাকার সংগঠনগুলো ব্যর্থ

কলকাতার সিনে টেকনিশিয়ানদের সংগঠনের নিষেধাজ্ঞার কারণে লন্ডনে আটকে গেছে ‘চালবাজ’-এর শুটিং। এ নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হয়েছেন সিনেমাটির প্রযোজক। অথচ যৌথ প্রযোজনার ছবিটি নিয়ে কলকাতার টেকনিশিয়ানরা যতটা সরব বাংলাদেশিরা ততটা সরব নন। প্রাপ্য বুঝে নেওয়ায় কোনো পদক্ষেপ নেই তাদের!

চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট সংগঠনগুলোর প্লাটফর্ম বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিবারের নেতারা যৌথ প্রযোজনার ছবি ‘বস টু’ ও ‘নবাব’ নিয়ে আন্দোলন করলেন পুরো সপ্তাহ জুড়ে। দুই-দুবার সেন্সর বোর্ড ঘেরাও কর্মসূচি পালন করেন। কিন্তু তারা ছবি দুটি নির্মাণের পর কেন আন্দোলন করলেন? আগে থেকেই তো জানা ছিল— শুধু শিল্পী নয়, টেকনিশিয়ানদের ক্ষেত্রেও ছবি দুটোতে ভারসাম্য রক্ষা হয়নি, মানা হয়নি যৌথ প্রযোজনার নীতিমালা। অথচ তারা ছবি দুটির শুটিং বন্ধ করতে পারেনি। যেটা পেরেছে কলকাতার সংগঠন। তারা কলকাতায় বসে লন্ডনে শুটিং বন্ধ করে দিয়েছে।

ফেডারেশন মানে ‘ফেডারেশন অব সিনে টেকনিশিয়ানস অ্যান্ড ওয়ার্কাস অব ইস্টার্ন ইন্ডিয়া’। কাজ করতে ‘নিষেধ’ কেন? ফেডারেশনের দাবি, বিদেশে শুটিংয়ের ক্ষেত্রে নিয়মমাফিক ১৯ জন চলচ্চিত্রকর্মীকে নিয়ে যায়নি প্রযোজক সংস্থা এসকে মুভিজ। ট্রলি, আর্ট সেটিং, প্রোডাকশনের কাউকে নিয়ে যাওয়া হয়নি। তাই কাজ আটকে গিয়েছে।

সংগঠনটি এর আগে বহু ছবির ক্ষেত্রে তাদের ক্ষমতার প্রয়োগ দেখিয়েছে। এমনকি নৃত্যশিল্পীদের সংগঠনের কারণে জটিলতায় পড়ে শাকিবের যৌথ প্রযোজনার ছবি ‘শিকারি’।

বাংলাদেশি টেকনিশিয়ানদের সংগঠন দেশি ছবি— ‘রংবাজ’ ও ‘মনে রেখো’র ক্ষেত্রে তাদের ক্ষমতা যতটা দেখাতে পেরেছে তার এক শতাংশও দেখাতে পারেনি যৌথ প্রযোজনার ছবির ক্ষেত্রে। চোখের সামনে যৌথ প্রযোজনার ‘বস টু’র শুটিং এফডিসিতে জিৎ করে গেলেন। কিন্তু কোন সংগঠন থেকে প্রশ্ন তোলা হয়নি তার ‘ওয়ার্ক পারমিট’ ছিল কিনা? বাংলাদেশে শুটিংয়ের সময় এদেশিয় কোন টেকনিশিয়ান কাজ না করলেও কেউ কোন উচ্চবাচ্য করেননি। একই ঘটনা ঘটেছে ‘নবাব’-এর ক্ষেত্রেও।

সব মিলিয়ে সমালোচকদের বক্তব্য বাংলাদেশি সংগঠনগুলো এখনো কলকাতার সংগঠনগুলোর মতো সব বিষয়ে তাদের ক্ষমতার প্রয়োগের জায়গায় যেতে পারেনি। যেদিন পারবে সেদিন কেউ নিয়মনীতি না মানার সাহস পাবে না।