কলারোয়ায় জনসম্মুখে মুক্তিযোদ্ধাকে পেটালেন ইউপি চেয়ারম্যান

সাতক্ষীরার কলারোয়ায় প্রকাশ্য জনসম্মুখে বীর মুক্তিযোদ্ধা জিয়াদ আলীকে বেদম মারপিট ও বুকে লাথি মেরে গুরুতর আহত করেছে উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ন-সাধারণ সম্পাদক ও ৫নং কেঁড়াগাছি ইউপি চেয়ারম্যান এসএম আফজাল হোসেন হাবিল।

ঘটনাটি ঘটেছে গত শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ইফতারের পূর্ব মুহুর্তে পৌরসদরের প্রাণী সম্পদ হাসপাতালের সামনে।

পরে বাজারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে কলারোয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।

আহত বীর মুক্তিযোদ্ধা জিয়াদ আলী (৬০) জানান- উপজেলার কেঁড়াগাছি ইউনিয়নের বোয়ালিয়া গ্রামের খোকন শেখের সাথে তার বোনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে প্রায় সময় তার বোনকে স্বামী খোকন শেখ মারধর করে। সম্প্রতি তার বোনকে বেদম মারপিট করায় গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যানের নিকট বিচার প্রার্থনা করে। এক পর্যায়ে শালিসের দিনে ইউপি চেয়ারম্যাান আফজাল হোসেন হাবিল বিচার করে জানান, তার বোন বাড়িতে পা পিছলে পড়ে আহত হয়েছে, স্বামী খোকন তার স্ত্রীকে কোন প্রকার মারপিট করেনি।

চেয়ারম্যানের ওই মনগড়া শালিস না মেনে বোনের পক্ষ নিয়ে তিনি নিজেই ওই বিষয় নিয়ে কলারোয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

মুক্তিযোদ্ধা জিয়াদ আলী বলেন- ‘এ ঘটনার পর ইউপি চেয়ারম্যান আ.লীগ নেতা আফজাল হোসেন হাবিল ক্ষুব্ধ হয়ে শুক্রবার সন্ধ্যায় ওই স্থানে জনসম্মুখে তাকে কিল ঘুষি মেরে মাটিতে ফেলে দিয়ে বুকের উপর কয়েকটি লাথি মারে। এতে সে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে কলারোয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।’

এ ঘটনায় তিনি ওই দিনই কলারোয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান আফজাল হোসেন হাবিল বলেন- ইউনিয়ন পরিষদের শালিস না মেনে মুক্তিযোদ্ধা জিয়াদ আলী তার বোনের পক্ষে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। যা ইউনিয়ন পরিষদকে অবমাননার শামিল।

বৃদ্ধ বীর মুক্তিযোদ্ধাকে বেদম মারপিট ও লাথি মারার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন- আমি তাকে মারধর করেনি। তার সঙ্গে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে মাত্র। তবে মুক্তিযোদ্ধা জিয়াদ আলী রোজা থাকার কারণে কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন।

কলারোয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বিপ্লব কুমার নাথ জানান- এ ঘটনায় আহত মুক্তিযোদ্ধা জিয়াদ আলী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেছেন। যার নং-৭৫। সাধারণ ডায়েরীটি তদন্ত পূর্বক ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।