কলারোয়া রুপালী ব্যাংক থেকে কোটি টাকার ভুয়া ঋণ উত্তোলনে অভিযোগ

জুলফিকার আলী,কলারোয়া (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধিঃ কলারোয়া রুপালী ব্যাংক শাখা থেকে অদ্য কোটি টাকার ভুয় ঋণ উত্তোলনে অভিযোগ উঠেছে। এঘটনায় উপজেলা নির্বাহী অফিসে একটি লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। ঘটনার বিবরণে জানা গেছ্,ে গত ১৪ জুন-২০১১সালে উপজেলার কাঁদপুর গ্রামের আব্দুল লতিবের স্ত্রী মিসেস ফাতেমা খাতুন রুপালী ব্যাংক কলারোয়া শাখা থেকে ২লাখ টাকার এসএমই ঋণ গ্রহন করে। দীর্ঘ দিন ব্যাংকে কিস্তির টাকা জমা না দেওয়ায়। বর্তমানে ২লাখ,৬০হাজার,৮শ’৩২টাকায় দাড়িয়েছে।

এঘটনায় কলারোয়া রুপালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপক হামিদুল ইসলাম ঋণের টাকা পরিশোধের জন্য চুড়ান্ত নোটিশ প্রদান করেন। এই নোটিশে ঋণের টাকার জামিনদার হিসাবে কলারোয়া পাইলট হাইস্কুলের শিক্ষক মোস্তাফিজুর রহমানকে একটি অনুলিপি প্রদান করলে ঘটনা ফাঁস হয়ে পড়ে। এবিষয়ে কলারোয়া জিকেএমকে পাইলট হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক আবদুর রব জানান, তার স্কুলের শিক্ষক আঃ রকিব স্বাক্ষর জাল জালিয়াতি করে শিক্ষক মেস্তাফিজুর রহমান, তপন কুমার ঘোষ, আঃ রব মাসুম, জাহিদ হোসেনকে জামিনদার বানিয়ে একই ভাবে ৮লাখ টাকা উত্তোলন করে। যাহা রুপালী ব্যাংক থেকে টাকা পরিশোধের জন্য চুড়ান্ত নোটিশ প্রদান করেছে। এছাড়া পাইলট হাইস্কুলের পিউন বিল্লালের নামেও ২লাখ টাকার ঋণ উত্তোলন করা হয়েছে।

একই ভাবে কাদপুর গ্রামে প্রায় ৬০/৭০ জনকে ২০১১সালে সরকারী অনুদান দেওয়ার জন্য আইডি কার্ড, ছবি ও ফর্মে স্বাক্ষর করে নেয়। পরে তাদের প্রত্যেকের নামে রুপালী ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলন করা হয়। অথচ এই নিরহ মানুষ গুলি কিছুই জানে। এছাড়া ইসলামী ব্যাংক থেকে পাইলট হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক আবদুর রব ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আমিনুল ইসলাম লাল্টুর স্বাক্ষর জাল করে ২লাখ টাকা উত্তোলন করা হয়েছে। এবিষয়ে কলারোয়া রুপারী ব্যাংকের ব্যবস্থাপক হামিদুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, মৎস্য চাষ ঋণের ২৫লাখ টাকা আদায়ের জন্য সাতক্ষীরা অর্থ ঋণ আদালতে একটি মামলা দায়ের হয়েছে।

এছাড়া ১৩টি ক্ষুদ্র ঋণ আদায়ের জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসে সাট্টিফিকেট মামলা দায়ের হয়েছে। আরো বলেন, তিনি নতুন এই ব্যাংকে দায়িত্ব নিয়েছেন। এর অেেগ জহুরুল ইসলাম দায়িত্বে ছিলেন তার সময় এসব ঋণ দেওয়া হয়েছে। এদিকে কলারোয়া জিকেএমকে পাইলট হাই স্কুলের শিক্ষক আঃ রকিব বলেন, তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ মিথ্যা। যিনি ঋণ গ্রহণ করছেন তিনি ব্যাংকের টাকা পরিশো করবেন। আমাকে অজাথা হয়রানী করা হচ্ছে।