কাতারের ওপর বিশ্বাস নেই সৌদিসহ চার দেশের

কাতারের ওপর বিশ্বাস নেই সৌদিসহ মধ্যপ্রাচ্যের চার দেশের। সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, মিসর ও বাহরাইন মিলে তাদের প্রতিবেশি দেশ কাতারকে যেসব নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে তার যথার্থ কূটনৈতিক সমাধান খুঁজতে নানামুখী প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে। তারই অংশ হিসেবে এখন মধ্যপ্রাচ্যে সফর করছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন।

টিলারসনের সঙ্গে উপসাগরীয় অঞ্চলের মন্ত্রীদের বৈঠক কোনও ফলাফল ছাড়াই শেষ হওয়ার পর বৃহস্পতিবার আবারও কাতার সফরে যাচ্ছেন তিনি।

কাতারের ওপর সৌদি আরব ও তার মিত্রদের নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর সৃষ্ট পরিস্থিতি অবসানের উপায় খুঁজে বের করাই টিলারসনের মূল লক্ষ্য। জঙ্গিবাদে অর্থ সরবরাহ বন্ধ করার বিষয়ে এরই মধ্যে একটি সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও কাতার।

কিন্তু সৌদি আরব ও তার মিত্র-দেশগুলো বলছে, যুক্তরাষ্ট্র ও কাতারের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হলেও কাতারের ওপর তারা অবরোধ জারি রাখবে। কারণ তারা কাতারের ওপর বিশ্বাস বা আস্থা রাখতে পারছেন না।

সংযুক্ত আরব আমিরাতের মন্ত্রী নোরা আল কাবি বিবিসিকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে বলেছেন, তারা এই চুক্তিকে খুব একটা বিশ্বাসযোগ্য মনে করছেন না। তিনি বলেন, ‘দুর্ভাগ্যজনকভাবে ২০১৩ ও ২০১৪ সালে কাতার দুবার চুক্তি করে এবং সম্পূরক আরও একটি চুক্তি হয় যেখানে সন্ত্রাসবাদ ও উগ্রবাদকে ঠেকানোর লড়াইয়ের ওপর গুরুত্ব দেয়া হয়েছিল। কিন্তু সবই ছিল মিথ্যে প্রতিশ্রুতি। কার্যত কিছুই তারা করেননি। তাই আমরা তাদের প্রতি বিশ্বাস হারিয়ে ফেলেছি।’

তবে এই চুক্তিকে ইতিবাচকই মনে হচ্ছে বলে জানান তিনি। কিন্তু তা কিভাবে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে, তার ওপরই নির্ভর করে সবকিছু। যুক্তরাষ্ট্র ও কাতারের মধ্যে স্বাক্ষর হওয়া এমওইউ অনুসারে কাতারের কর্তৃপক্ষকে সামনের দিনগুলোতে বেশকিছু কাজ ধারাবাহিকভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে।

সন্ত্রাসবাদে সমর্থন ও অর্থায়নের অভিযোগ থাকলেও কাতার হামাস বা ইসলামিক স্টেটকে কোন ধরনের সহযোগিতার বিষয়টি শুরু থেকেই অস্বীকার করে আসছে।