কানাডার ফেরারি ‘উগ্রপন্থী’ সালমান ঢাকায়

‘গণহত্যার উসকানিদাতা’ এক উগ্রপন্থী তরুণ কানাডীয় পুলিশের পরোয়ানা আর ইন্টারপোলের রেড নোটিশ মাথায় নিয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে আছে বলে খবর দিয়েছে কানাডার ন্যাশনাল পোস্ট।

পত্রিকাটি লিখেছে, এক সময় টরোন্টোতে বসবাস করা ৩২ বছর বয়সী সালমান হোসাইনকে গত রোববার ঢাকার গুলশানের একটি কফি শপের সামনে দেখা গেছে।

রূপালী রঙের একটি টয়োটা করোলায় চড়ে তিনি ওই কফি শপে গিয়েছিলেন। সেখানে তার একটি ছবিও তুলেছেন এক আলোকচিত্রী।

ওই আলোকচিত্রী সালমানের আরো কিছু সাম্প্রতিক ছবি ন্যাশনাল পোস্টকে দিয়েছেন, যেখানে বনানীর একটি অভিজাত হোটেল ও উত্তরার দিয়াবাড়ি এলাকাতেও তাকে দেখা গেছে।

কানাডায় সালমানের বিরুদ্ধে গণহত্যায় উসকানির মামলার তদন্ত করেছেন ওন্টারিও প্রাদেশিক পুলিশের স্টাফ সার্জেন্ট পিটার লিওঁ।

ন্যাশনাল পোস্টকে তিনি বলেছেন, সালমানের নামে এখনো পরোয়ানা রয়েছে। বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত সালমানই প্রথম ব্যক্তি, যার বিরুদ্ধে কানাডায় প্রথমবারের মত গণহত্যার উসকানি দিয়ে প্রচার চালানোর অভিযোগ আনা হয়েছে।

২০১০ সালের জুলাই মাসে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের কিছু দিন আগেই সালমান টরোন্টো থেকে লাপাত্তা হয়ে যান। পরে তার বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড কর্নার নোটিশ জারি করা হয়।

ন্যাশনাল পোস্ট লিখেছে, অভিযোগ দায়েরের কিছু দিন আগে সালমান কানাডা ছেড়ে গেলেও ইন্টারনেটে নিজের উপস্থিতির প্রমাণ রেখেছেন। গত সেপ্টেম্বরে ইউটিউবে পোস্ট একটা করা একটি ভিডিওতে একটি ছাগল জবাই করার সময় তাকে বাংলায় কথা বলতে শোনা যায়।

ওই পোস্টে লেখা হয়, ‘বিশ্বের যেখানেই ইহুদি, তাদের সহযোগী বা দাসদের পাওয়া যাবে, সেখানেই তাদের এভাবে নিধন করা দরকার।… দায়েশ (আইএস), তোমরা কি ইসরাইল ও ইহুদিদের প্রতি তোমাদের দায়িত্বের কথা ভুলে গেছ?’