কাল ৪ ঘণ্টা উন্মুক্ত থাকবে হোলি আর্টিজান

ভয়ংকর সেই জঙ্গি হামলার এক বছর হবে আগামীকাল ১ জুলাই। ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য অনেকেই আসবেন গুলশান-২ নম্বরের ৭৯ নম্বর সড়কের ৫ নম্বর প্লটের বাড়িটিতে। হোলি আর্টিজান বেকারির সেই আগের ভবনটি আগামীকাল চার ঘণ্টার জন্য উন্মুক্ত থাকবে।

ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে বেকারির আগের সেই বাড়িটিতে মালিকপক্ষ নিজেদের থাকার জন্য মেরামতের কাজ করছে। তবে এখন ভবনের সামনে সাদা কাপড়ে মোড়ানো লম্বা আকৃতির একটি ডায়াসের মতো তৈরি করা হচ্ছে। আর্টিজানের মালিকদের একজন সাদাত মেহেদী বলেন, ‘যে কেউ এসে ভবনের সামনে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাতে পারবেন। আগামীকাল সকাল ১০ থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে।’

গত বছরের ১ জুলাই রাতে হোলি আর্টিজান বেকারিতে সশস্ত্র হামলা চালায় পাঁচ জঙ্গি। জঙ্গিরা নয়জন ইতালিয়ান, সাতজন জাপানি, একজন ভারতীয় নাগরিক এবং বাংলাদেশের ফারাজ আইয়াজ হোসেন, অবিন্তা কবীর, ইশরাত আখন্দ এবং দুজন পুলিশ কর্মকর্তাসহ মোট ২২ জনকে নির্মমভাবে হত্যা করে। শেষ পর্যন্ত কী ঘটবে, এই উৎকণ্ঠার ভেতর দিয়ে রাত কাটে। পরদিন সকাল ৭টা ৪০ মিনিটে সেখানে যৌথ বাহিনী অভিযান চালায়। অভিযানে নিহত হয় পাঁচ জঙ্গি। অবসান ঘটে প্রায় ১১ ঘণ্টার শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতির।

জঙ্গি হামলার পর প্রায় সাড়ে চার মাস আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তত্ত্বাবধানে থাকে হোলি আর্টিজান প্রাঙ্গণ। গত বছরের ১৩ নভেম্বর পুলিশ মালিককে এর দায়িত্ব বুঝিয়ে দেয়। তবে মালিকপক্ষ জানায়, ভবনটিতে তারা কোনো বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান করবে না। দোতলা ওই ভবন নিজেদের বাসস্থান হিসেবে গড়ে তুলবে তারা। সে জন্য এখন চলছে মেরামতের কাজ। নিহত ব্যক্তিদের স্মরণে আগামীকাল শ্রদ্ধা জানাতে ভবনটি চার ঘণ্টার জন্য উন্মুক্ত রাখা হবে।

এ বছরের ১০ জানুয়ারি থেকে গুলশান নর্থ অ্যাভিনিউতে হোলি আর্টিজান বেকারির একটি শাখা চালু করেছে মালিকপক্ষ। র‍্যাংগস আর্কেডের দোতলায়, সুপারশপ গরমেট বাজারের একটি অংশে ৫০০ বর্গফুটের মতো জায়গায় বেকারির কার্যক্রম চলছে।