কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় গবেষণাকারী ৫ টেক জায়ান্ট

প্রতিনিয়ত বাড়ছে প্রযুক্তির উদ্ভাবন ও বিকাশ। নিত্য নতুন বিষয় নিয়ে চলছে প্রচুর গবেষণাও। আর আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্স বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) নিয়েও চলছে ব্যাপক গবেষণা। গুগল, ফেসবুক ও মাইক্রোসফট এআই নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ নিয়েছে পদক্ষেপ। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বিকাশে বিনিয়োগ ও গবেষণা করেছে এমন টেক জায়ান্টগুলোর নিয়ে এ আয়োজন।

১. গুগল ইন কর্পোরেশন:

আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্স খাতে ২০১৪ সালে ৪০ কোটি ডলারে এআই স্টার্টআপ ডিপমাইন্ড অধিগ্রহণ করে গুগল। এর পর পাতাল রেলস্টেশন থেকে শুরু করে বিভিন্ন অনলাইন গেম এবং নিজেদের বিভিন্ন সেবার সঙ্গে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা যুক্ত করতে কাজ করছে প্রতিষ্ঠানটি। পরিকল্পনা রয়েছে স্বাস্থ্যসেবা খাতেও এআই প্রযুক্তি ব্যবহারের। গুগল এরই মধ্যে ‘পিপল প্লাস এআই রিসার্চ ইনিশিয়েটিভ’ নামে একটি প্রকল্প চালু করেছে।

২. অ্যাপভিত্তিক ট্যাক্সি সেবা প্রতিষ্ঠান উবার:

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে কাজ করছে অ্যাপভিত্তিক ট্যাক্সি সেবাদাতা উবার। অন-ডিম্যান্ড ট্যাক্সি সেবায় এআই ব্যবহার করতে চায় প্রতিষ্ঠানটি। জিওমেট্রিক ইন্টেলিজেন্সের ১৫ কর্মী প্রতিষ্ঠানটির এআই প্রযুক্তি উন্নয়নে কাজ করছেন।

৩. ফেসবুক:

প্রযুক্তি-বিষয়ক ওয়েবসাইট নেক্সট ওয়েবের তথ্যমতে, এআই প্রযুক্তির মাধ্যমে অন্ধদের বিভিন্ন ছবি দেখতে সহায়তা দিচ্ছে ফেসবুক। পাশাপাশি বিপুল সংখ্যক ব্যবহারকারীর তথ্য বিশ্লেষণে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে কাজ করছে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমটি। ২০১০ সালে ফেসবুকে ফেসিয়াল রিকগনিশন প্রযুক্তি আনতেও এআই ব্যবহার করা হয়। প্রতিষ্ঠানটি এরই মধ্যে কয়েকজন এআই বিজ্ঞানী নিয়োগ দিয়েছে।

৪. স্পটিফাই:

গ্রাহক চাহিদা অনুযায়ী কনটেন্ট সরবরাহ এবং বিজ্ঞাপন খাতে ব্যবসা জোরদারে এআই ব্যবহারের পরিকল্পনা নিয়েছে ডিজিটাল মিউজিক স্ট্রিমিং সেবা স্পটিফাই।

৫. মাইক্রোসফট:

২০১৬ সালের ডিসেম্বরে এআই স্টার্টআপগুলোকে আর্থিক সহায়তা দিতে মাইক্রোসফট ভেঞ্চার নতুন একটি বিনিয়োগ তহবিল গঠন করে। বিশেষ করে যেসব স্টার্টআপ সমাজের কল্যাণে এআই ব্যবহারের উদ্দেশ্য নিয়ে কাজ করছে, সেগুলোয় বিনিয়োগের জন্য তহবিল গঠন করে প্রতিষ্ঠানটি। মাইক্রোসফট ভেঞ্চার দুটি স্টার্টআপ কোম্পানির সহকারী পরিচালনার দায়িত্ব পালন করছে।