কেন্দ্রের অনুমতি ছাড়া কাউকে নেয়া যাবে না আওয়ামী লীগে

অন্য দল থেকে আওয়ামী লীগে যোগদানের ক্ষেত্রে কেন্দ্রের অনুমতি নেয়ার বাধ্যবাধকতা জারি হয়েছে। এতে বিতর্কিতদের দলে প্রবেশ ঠেকানো যাবে বলে আশা করছে ক্ষমতাসীন দল। বিতর্কিতদের দলে অনুপ্রবেশ নিয়ে সভাপতি শেখ হাসিনার অসন্তোষ প্রকাশের মধ্যেই এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

সোমবার আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের সম্পাদকমণ্ডলীর বৈঠক শেষে এ কথা জানান ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘কেন্দ্রের অনুমতি ছাড়া কোনো যোগদান স্বীকৃত হবে না। সাম্প্রদায়িক অপশক্তি যেন আওয়ামী লীগে যোগদান করতে না পারে, এ ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।’

২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর দেশের বিভিন্ন এলাকাতেই ক্ষমতাসীন দলে অন্য দল থেকে নেতাকর্মীদের যোগদানের ঘটনা ঘটছে। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের পর এই প্রবণতা বেড়েছে। কোথাও কোথাও বিতর্কিতদের দলে নেয়ায় সংসদ সদস্যসহ কেন্দ্রীয় নেতাদেরকেও সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে। ঢাকা লাগোয়া জনপদ নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে বছর তিনেক আগে চার আওয়ামী লীগ কর্মী হত্যার প্রধান আসামিকেও দলে টানেন স্থানীয় সংসদ সদস্য। সম্প্রতি এই আসামির ফাঁসির আদেশ হওয়ার পর বিষয়টি নিয়ে আবার আলোচনা শুরু হয়।

গত শনিবার গণভবনে আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভার রুদ্ধদ্বার বৈঠকেও এই বিষয়টি নিয়ে নেতাদেরকে শাসান সভাপতি শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘আমি জরিপ করে দেখেছি, প্রত্যেকে নিজের স্বার্থে দলের মধ্যে উপদল করছে। দল ভারী করার স্বার্থে বিএনপি-জামায়াতের দাগীদের, যারা আমাদের নেতাকর্মীদের ২০০১ সালের নির্বাচনের পরে অত্যাচার নির্যাতন করেছেন তাদের টেনেছে। এরা দলের ভেতরে এসে দলের ক্ষতি করে। এমনকি আমাদের দলের নেতাকর্মীদের হত্যার সঙ্গে পর্যন্ত জড়িত হয়।’