ক্যানসার আক্রান্ত শচীনের এই নারী ভক্তের এই গল্প শুনলে আপনিও কষ্ট পাবেন!

বাকি দুনিয়ার কাছে যা নেই সেই শচীন টেণ্ডুলকার আছে ভারতের কাছে। এই গর্বে আজও গর্বিত দেশবাসী। ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়েছেন আগেই। কিন্তু সেই মাস্টার ব্লাস্টারের প্রতি ফ্যানদের ভক্তি, শ্রদ্ধা, ভালবাসা যে এতটুকু কমেনি, ফের তারই প্রমাণ মিলল।

মৃত্যুর আগে শেষ ইচ্ছায় শচীনকে দেখতে চেয়েছিলেন এক মহিলা ভক্ত। মারণ রোগ ক্যানসারে ভুগছিলেন কেরালার এক মহিলা। নিশ্চিত মৃত্যু জেনে স্বামীকে নিজের শেষ ইচ্ছার কথা জানিয়েছিলেন। ইহলোক থেকে চিরজীবনের মতো বিদায় নেওয়ার আগে একবার ক্রিকেট ঈশ্বরকে চোখের দেখা দেখতে চান। গত মঙ্গলবার ফেসবুকে সেই অভিজ্ঞতার কথাই জানালেন এন রমেশ কুমার।

ভারতের কেলারার পালাক্কাড় জেলার বাসিন্দা জানাচ্ছেন, সেই সময় ক্যানসারের সঙ্গে বাঁচার যুদ্ধ চালাচ্ছিলেন তার স্ত্রী আশু। চলছিল কেমোথেরাপি। সেই যন্ত্রণার মধ্যেই স্বামীকে জানিয়েছিলেন, শচীনকে একবার সামনে থেকে দেখতে চান।

ঘটনা গত বছর ৬ অক্টোবরের। খবরের কাগজে আশু পড়েছিলেন, ইন্ডিয়ান সুপার লিগে কেরালা ব্লাস্টার্সের কর্ণধার হিসেবে কোচি আসছেন শচীন। তখনই রমেশকে জানান, তাকে যেন স্টেডিয়ামে নিয়ে যাওয়া হয়। শচীনকে দেখলেই মন ভাল হয়ে তার। বলেছিলেন, “মৃত্যুকে ভয় পাই না। কিন্তু একবার শচীনকে দেখতে চাই। আমায় নিয়ে চল।”

যন্ত্রণাকাতর স্ত্রীর অনুরোধ ফেলতে পারেননি রমেশ। কোনওরকমে ম্যাচের টিকিট জোগাড় করে পৌঁছে যান কালুর স্টেডিয়ামে। কিন্তু ক্যানসারের রোগীকে সেই ভিড়ের মধ্যে নিয়ে যাওয়া তো সহজ ছিল না। পুলিশও তাদের সাহায্য করে। স্টেডিয়ামের বাইরে রাখা ছিল অ্যাম্বুল্যান্সও। স্টেডিয়ামে পৌঁছাতেই স্বপ্নপূরণ হল আশু।

যাকে এত বছর ধরে বাইশ গজে দাপটের সঙ্গে ব্যাটিং করতে দেখেছেন, তিনিই দাঁড়িয়েছিলেন চোখের সামনে। আশুর চোখ দিয়ে ঝরে পড়ছে আনন্দাশ্রু। জানতেন, এই শেষবার। আর কখনও শচীনকে দেখতে পাবেন না। তার গলা শুনতে পাবেন না। কারণ সব ছেড়ে জীবন থেকেই ছুটি হয়ে যাবে তার।

তাই শচীনের উপস্থিতির প্রতিটি মুহূর্তকে মনের মধ্যে আগলে রাখছিলেন আশু। না, শচীন সে মুহূর্তে ভিড়ে বসে থাকা ভক্তের মনের খবর জানতেও পারেননি। কিন্তু অজান্তেই আশুকে জীবনের অনেকটা খুশি উপহার দিলেন মাস্টার ব্লাস্টার।