খাবারের বিভিন্ন ছবি দেখে নিজেকে সান্ত্বনা দেন তামিম

বাংলাদেশ ক্রিকেট ইতিহাসের সেরা ওপেনার তামিম ইকবাল। এক সময় তার তাড়াহুড়ো স্বভাবের ব্যাটিং নিয়ে নানা প্রশ্ন ছিল। কয়েকটি বল মিস করলেই মাথা গরম করে ফেলতেন। উচ্চভিলাষী শট খেলতে গিয়ে আউট হয়ে ফিরতেন।

কিন্তু তার সবটাই ছিল ২০১৫ বিশ্বকাপের আগে। এই বিশ্বকাপ তামিম ইকবালের জন্য নিজেকে বদলে ফেলার এক মাইলফলক। তামিম নিজেও সেটা এখন বারবার বলেন। এখন তিনি অনেক স্থির, অনেক পরিণত। এখন তাকে মাথা গরম করতে খুব কম দেখা যায়। টানা বল মিস করে গেলেও মেজাজ হারান না।

বলের মেরিট বুঝে প্রাপ্য বুঝিয়ে দেন। ধৈর্য ধরে লম্বা ইনিংস খেলেন। ফিফটিকে সেঞ্চুরিতে পরিণত করার চেষ্টা করেন। নিজেকে এমন ধীর ও সুস্থির করার ফলাফল হাতেনাতে পাচ্ছেন তামিম ইকবাল।

সম্প্রতি দেশের একটি জনপ্রিয় অনলাইন গণমাধ্যমের সাথে কথা বলছিলেন নিজের ফিটনেস নিয়ে। তামিমের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, আপনি তো এমনিতে “ফিটনেস ফ্রিক” নন…

জবাবে এ ড্যাশিং ওপেনার বলেন, আমাদের দলের দু-একজন আছে, মুশফিক-সাব্বির, ওদের মত আমি হয়ত সারাদিন ফিটনেস নিয়ে থাকি না। তবে ফিটনেসকে যথেষ্ট সিরিয়াসলিই নেই। যতটুকু করি, যা করি, ভালোভাবে করি। আমার অনেক কাজ সেভাবে দেখা যায় না। নিজেকে ফিট রাখতে ডায়েট, রানিং থেকে শুরু করে যতটুকু দরকার, সবই করি।

ডায়েটের বিষয় আসতেই আবারও তার কাছে জানতে পাওয়া হয়, আপনি, আপনারা পারিবারিকভাবেই ভোজনপ্রিয়। বিরিয়ানি ধরনের খাবার খুব পছন্দ করেন। ডায়েট করা তো সেদিক থেকে আপনার জন্য বড় ত্যাগ!

তামিম বলেন, ডায়েট হয়ত আমাদের সবাই করে। তবে আমার ব্যাপারটা কি, আমি ‘রিচ ফুড’ খেতে বেশি পছন্দ করি। পারিবারিক কারণেই এটা হয়েছে। নতুন করে বলার কিছু নেই। আমাদের পরিবার চট্টগ্রামে দুটি কারণেই বিখ্যাত, খেলাধুলা আর খাওয়া। পারিবারিক ঐতিহ্যে বড় অংশ জুড়ে আছে খাওয়া-দাওয়া। ওই পরিবারের ছেলে হয়ে খাওয়া কন্ট্রোল করা মানে অনেক বড় ত্যাগ আমার জন্য।

আমি, আমার স্ত্রী, আমরা খেতে অনেক পছন্দ করি। নানা দেশের নানা কিছু পরখ করে দেখতে ভালোবাসি। সেটা যখন বাদ দিতে হয়, আসলেই অনেক কষ্ট হয়। শুনলে হাসতে পারেন, ডায়েট করার সময় আমি ও আমার স্ত্রী নেটে বিভিন্ন খাবারের ছবি দেখি। নিজেদের সান্ত্বনা দেই। নিজেকে বোঝাই যে আমার ক্রিকেট ক্যারিয়ার ২০ বছরের নয়। আর হয়ত ৭-৮ বছর। এই বছর কটা ভালোভাবে খেলতে পারলে ক্রিকেট ছাড়ার পর ইচ্ছেমত খাব।