গরীব কৃষকের ছেলের সাথে ধনীর মেয়ে প্রেম করে বিয়ে, অতঃপর…

সাবালক যুবক-যুবতির আইনি বিয়ের পরও যুবকের পরিবারকে হেনস্থা করার অভিযোগ উঠল রতুয়া থানার পুলিশের বিরুদ্ধে। যদিও এনিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছে পশ্চিমবঙ্গের মালদার রতুয়া থানা ও জেলা পুলিশ।

রতুয়াতেই থাকেন উত্তম কুমার সরকার। পেশায় কৃষিজীবী, গরিব পরিবার। ছেলে অভিজিতের বয়স এথন ২২। বছর পাঁচেক আগে অভিজিৎ প্রেমে পড়েছিলেন এলাকারই যুবতি সাগরিকার (২১)। সাগরিকার বাবা হেমন্ত শর্মা এলাকার ধনী ব্যবসায়ী। এই প্রেম তিনি মেনে নিতে পারেননি। মানতে পারেননি তার পরিবারের অন্য সদস্যরাও।

এই অবস্থায় সম্প্রতি বাড়ি থেকে পালিয়ে যান সাগরিকা। অভিজিতের সঙ্গে রেজিস্ট্রি হয় তার। সেকথা জানতে পেরেই হেমন্তবাবু রতুয়া থানায় অভিজিতের বিরুদ্ধে মেয়েকে অপহরণের অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ, এরপর তৎপর হয়ে ওঠে রতুয়া থানার পুলিশ।

অভিজিৎ-সাগরিকার যাবতীয় কাগজপত্র খতিয়ে দেখেন পুলিশকর্তারা। তারপর পুলিশ অভিজিতের বাবা-মাকে গ্রেপ্তার করে। চাঁচল আদালতে তোলা হলে তাদের ৪ দিনের পুলিশ হেপাজত হয়। থানায় তাদের উপর অত্যাচারও চালানো হয় বলে অভিযোগ।

এই অবস্থায় অভিজিৎ-সাগরিকা নিজেদের সমস্যার কথা সোশাল মিডিয়ায় জানিয়েছেন। সহায়তা চেয়েছেন সংবাদমাধ্যমেরও। তবে কোনও মন্তব্য করেনি রতুয়া থানার পুলিশ। নীরব জেলা পুলিশের শীর্ষকর্তারাও।