গরু কোরবানীর অজানা ইতিহাস

আকিদুল ইসলাম সাদী : কোরবানি হলো আল্লাহ’র পক্ষ থেকে পরীক্ষা। আর এই পরীক্ষা হযরত আদম আ.-এর যুগ থেকেই ধারাবাহিকভাবে চলে আসছে। তবে তাদের পদ্ধতিটা ছিলো ভিন্ন। বর্তমান কোরবানি করা হয় নির্দিষ্ট পশু দ্বারা। এটি শুরু হয় হযরত ইবরাহিম আ.-এর যুগ থেকে। সেই ধারাবাহিকতায় আমাদের পর্যন্ত চলে এসেছে। কোরবানির নির্দিষ্ট পশুর একটি হলো গরু। ভারতীয় উপমহাদেশে গরু কোরবানির ইতিহাস খুবই করুণ ও হৃদয় বিদারক! বর্তমান আমরা তো অনায়েসে গরু দ্বারা কোরবানি করে ফেলি। কোনপ্রকার বাঁধা আসে না। কিন্তু এটি আমাদের পূর্বপুরুষদের পক্ষে অতটা সহজ ছিলো না। বহু কষ্টে এটি সম্ভব হয়েছে।

এ সম্পর্কে বিশিষ্ট ইতিহাসবিদ মুনতাসীর মামুন লিখেছেন, “আজকে আমরা ইদ-উল-আজাহায় কোরবানির জন্য অনায়সে গরু কিনে এনে সহজেই কোরবানি দিয়ে ফেলি। কিন্তু আশি-একশো দুরে থাকুক পঞ্চশ বছর আগেও তা তেমন সহজসাধ্য ছিল না৷ আজকের প্রজন্ম হয়তো অবাক হবে যে, এ নিয়ে সুদীর্ঘ পঞ্চাশ বছর বিতর্ক চলেছে৷ এবং কোরবানি (বিশেষ করে গরু কোরবানি) দেওয়ার অধিকার আমাদের বাপ-দাদাদের লড়াই করে আদায় করতে হয়েছে ৷”
( বাংলাদেশের উৎসব, বাংলা একাডেমী, পৃষ্ঠা ৩২)

তিনি আরও লিখেছেন, “১৯০৫ সালে চাঁদপুরে কয়েকজন কোরবানি উপলক্ষে গরু কোরবানি দিয়েছিল ৷ এর ফলে জৈনক গোপাল চন্দ্র মজুমদার তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে৷ অভিযোগ ছিলো মুসলমানরা প্রকাশ্য রাস্তায় গরু জবেহ করেছে এবং বদ্ধজলে গোসত ধুয়ে জল অপবিত্র করেছে৷ জেলা হাকিম ছিলো জগদীশচন্দ্র সেন ৷ সে তিনজন মুসলিমকে অভিযুক্ত করে একজনকে এক মাসের জেল এবং অপর দুজনকে যথাক্রমে পঞ্চাশ ও পনের টাকা জরিমানা করেছিল৷”
(প্রাগুক্ত, পৃষ্ঠা, ৩৪ )

তিনি আরও উল্লেখ করেছেন, “প্রখ্যাত কবি ও সাহিত্যিক মীর মোশারেফ হোসেন মুসলিম সম্প্রদায়কে হতাশ করে গরু কোরবানীর বিরোধীতা করেন৷ এবং এ নিয়ে তিনি “গো জীবন” নামক একটি গ্রন্থ রচনা করেন ৷ এ জন্য তিনি প্রতিবেশি হিন্দু সমাজের সমর্থনও পান৷ তার গো-জীবন গ্রন্থের মুখবন্ধ দেন এলাহাবাদের গো রক্ষিনী সভার শ্রী শ্রীমান স্বামী৷ গরু কুরবানির বিরোধীতা করার জন্য টাঙ্গাইল থেকে প্রকাশিত “মাসিক আখবারে এসলামীয়া” এর সম্পাদক মৌলবী নঈমুদ্দীন কর্তৃক এক জনসভায় মীর মোশারেফ হোসেনকে কাফেরও
ঘোষণা করা হয়েছিল৷ ফলে কবি মীর মোশারেফ হোসেন তার বিরুদ্ধে…

মানহানির মামলা দায়ের করেন৷ সেসময় মৌলবী নঈমুদ্দীন’র পক্ষে এগিয়ে আসে ঢাকা কলেজ, মাদ্রাসা, পোগোজ, জুবিলী, জগন্নাথ, সার্ভে কলেজ, মেডিক্যাল এবং নর্মাল স্কুলের ছাত্ররা৷ তারা মৌলবী নঈমুদ্দীনের পক্ষে জনসভার আয়োজন করে৷ পরবর্তীতে মৌলবী নঈমুদ্দীন ও কবি মীর মোশারেফ হোসেনের মধ্যে আপসের মাধ্যমে মামলাটি প্রতাহার করা হয় ৷
(প্রাগুক্ত,পৃষ্ঠা ৩৪-৩৫)

উল্লিখিত ইতিহাস দ্বারা এটি প্রতিয়মান হয় যে, বর্তমান এই গরু কোরবানির অধিকার আমাদের পূর্বপুরুষরা কতো কষ্ট করে আদায় করেছেন। তাদের এই ত্যাগ অনুস্বীকার্য। ভারতীয় উপমহাদেশীয় সকল মুসলমানের হৃদয়ে তারা আমরণ স্মরণীয় হয়ে থকবে। আর পরকালে আল্লাহ পাক তাদেরকে উত্তম বিনিময়ে ভূষিত করবেন।

মানহানির মামলা দায়ের করেন৷ সেসময় মৌলবী নঈমুদ্দীন’র পক্ষে এগিয়ে আসে ঢাকা কলেজ, মাদ্রাসা, পোগোজ, জুবিলী, জগন্নাথ, সার্ভে কলেজ, মেডিক্যাল এবং নর্মাল স্কুলের ছাত্ররা৷ তারা মৌলবী নঈমুদ্দীনের পক্ষে জনসভার আয়োজন করে৷ পরবর্তীতে মৌলবী নঈমুদ্দীন ও কবি মীর মোশারেফ হোসেনের মধ্যে আপসের মাধ্যমে মামলাটি প্রতাহার করা হয় ৷
(প্রাগুক্ত,পৃষ্ঠা ৩৪-৩৫)

উল্লিখিত ইতিহাস দ্বারা এটি প্রতিয়মান হয় যে, বর্তমান এই গরু কোরবানির অধিকার আমাদের পূর্বপুরুষরা কতো কষ্ট করে আদায় করেছেন। তাদের এই ত্যাগ অনুস্বীকার্য। ভারতীয় উপমহাদেশীয় সকল মুসলমানের হৃদয়ে তারা আমরণ স্মরণীয় হয়ে থকবে। আর পরকালে আল্লাহ পাক তাদেরকে উত্তম বিনিময়ে ভূষিত করবেন।

মানহানির মামলা দায়ের করেন৷ সেসময় মৌলবী নঈমুদ্দীন’র পক্ষে এগিয়ে আসে ঢাকা কলেজ, মাদ্রাসা, পোগোজ, জুবিলী, জগন্নাথ, সার্ভে কলেজ, মেডিক্যাল এবং নর্মাল স্কুলের ছাত্ররা৷ তারা মৌলবী নঈমুদ্দীনের পক্ষে জনসভার আয়োজন করে৷ পরবর্তীতে মৌলবী নঈমুদ্দীন ও কবি মীর মোশারেফ হোসেনের মধ্যে আপসের মাধ্যমে মামলাটি প্রতাহার করা হয় ৷
(প্রাগুক্ত,পৃষ্ঠা ৩৪-৩৫)

উল্লিখিত ইতিহাস দ্বারা এটি প্রতিয়মান হয় যে, বর্তমান এই গরু কোরবানির অধিকার আমাদের পূর্বপুরুষরা কতো কষ্ট করে আদায় করেছেন। তাদের এই ত্যাগ অনুস্বীকার্য। ভারতীয় উপমহাদেশীয় সকল মুসলমানের হৃদয়ে তারা আমরণ স্মরণীয় হয়ে থকবে। আর পরকালে আল্লাহ পাক তাদেরকে উত্তম বিনিময়ে ভূষিত করবেন।