গ্যাস আমদানিতে কাতার-বাংলাদেশ ১৫ বছরের চুক্তি

তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানিতে প্রথমবারের মতো কাতারের সঙ্গে ১৫ বছরের জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছে বাংলাদেশ। পেট্রোবাংলা সূত্রের বরাত দিয়ে জ্বালানিবিষয়ক খবরের আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম এসঅ্যান্ডপি গ্লোবাল প্ল্যাটস এ খবর জানিয়েছে। এরআগে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছিল, অচিরেই চুক্তিটি সম্পন্ন হতে যাচ্ছে।

পেট্রোবাংলার নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ঊর্ধ্বতন কর্তকর্তার বরাত দিয়ে যুক্তরাজ্যভিত্তিক গ্লোবাল প্ল্যাটস জানিয়েছে, চুক্তিতে সই করার জন্য বুধবার কাতারের রাষ্ট্রীয় জ্বালানি প্রতিষ্ঠান রাসগ্যাসের একটি প্রতিনিধিদল ঢাকায় আসে। বৃহস্পতিবার দোহা এবং ঢাকার মধ্যে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস আমদানিতে ওই চুক্তি সম্পন্ন হয়। কাতারের রাসগ্যাস এবং বাংলাদেশের রাষ্ট্রায়াত্ত পেট্রোবাংলা এই চুক্তিতে সই করে। নগরীর পেট্রোসেন্টারে সই হওয়া এই প্রাথমিক চুক্তি অনুযায়ী ১৫ বছরের ধরে বছরে প্রায় ২.৫ মিলিয়ন টন তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস আমদানি করবে বাংলাদেশ।

গ্লোবাল প্ল্যাটস-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রাকৃতিক গ্যাসের বিপুল চাহিদা পূরণের জন্য বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো এই জ্বালানি আমদানি করতে যাচ্ছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পেট্রোবাংলার সেই কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত সপ্তাহেই চুক্তিটি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু মূল্য নিয়ে সমঝোতা না হওয়ায় শেষ পর্যন্ত তখন চুক্তিটি থেমে যায়। বৃহস্পতিবার দুই পক্ষ আবারো মূল্য-বিষয়ক বিভিন্ন ফরমুলা নিয়ে আলোচনা করে। পরে অপরিশোধিত তেলের আন্তর্জাতিক মূল্যের আলোকে গ্যাসের দাম নির্ধারণ করার ব্যাপারে উভয় পক্ষ একমত হয়। প্রতিবেদন অনুযায়ী বৃহস্পতিবারের বৈঠকে দাম পরিশোধের পদ্ধতি, চুক্তির মেয়াদ, গ্যাসের মান ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা হয়। তবে ওই কর্মকর্তা এ ব্যাপারে বিস্তারিত কিছু বলেননি। তিনি এগুলোকে ‘অতি গোপন’ বিষয় হিসেবে অভিহিত করেন।

গত জুনে পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান আবুল মনসুর মো. ফাইজুল্লাহ গ্লোবাল প্ল্যাটসকে বলেছিলেন, কাতার সফরকালে কাতারের রাসগ্যাসের সাথে সরকারি পর্যায়ে প্রাথমিক আলোচনা চূড়ান্ত করেছেন। তারা মূল্য ছাড়া সব ইস্যুর সমাধান করেছেন।