গ্রেফতারের পর ‘বন্দুকযুদ্ধে’ হত্যা মামলার আসামি নিহত

কুষ্টিয়ার সদর উপজেলায় পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ কলেজছাত্র হত্যা মামলার আসামি এনামূল হক (২৬) নামে এক যুবক নিহত হয়েছে।

পুলিশের দাবি, নিহত এনামূল শিবপুরের কলেজছাত্র আলোচিত সাগর সাহা হত্যা মামলার প্রধান আসামি। তিনি শিবপুরের গোলাম মোস্তফার ছেলে।

সোমবার ভোর রাত ৪টার দিকে উপজেলার হরিণানায়নপুর বেড়ি বাঁধ এলাকায় একটি কলাবাগানের ভেতর এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, ২ রাউন্ড গুলি, তিনটি গুলির খোসা ও দুটি হাসুয়া উদ্ধার করেছে। এ ঘটনায় তিন পুলিশ কনস্টেবল আহত হয়েছে।

কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানার ওসি রতন শেখ জানান, গত শনিবার কলেজছাত্র সাগর সাহার মৃতদেহ এনামুলের বাড়ির পাশের পরিত্যাক্ত ট্যাংক থেকে উদ্ধার করা হয়। সাগর সাহা হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে পুলিশ রোববার এনামূলকে গ্রেফতার করে।

জিজ্ঞাসাবাদে ওই হত্যাকাণ্ডের বিষয় স্বীকার করে তার সহকর্মী শিপনের নাম বলেন এনামূল হক।

সোমবার ভোর ৪টায় এনামূলকে নিয়ে শিপনকে ধরতে শিবপুরে যায় পুলিশ। ওই গ্রামের বাবু সড়কে কেমু সর্দারের কলাবাগানে পৌঁছালে হঠাৎ সন্ত্রাসীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এসময় এনামূল পালিয়ে যায়। পুলিশও এসময় গুলি ছুড়লে একপর্যায়ে সন্ত্রাসীরা পিছু হটে পালিয়ে যায়।

পুলিশ ঘটনাস্থল তল্লাশি চালিয়ে গুলিবিদ্ধ এনামুলকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে পাঠালে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি বিদেশি ৭.৬৫ পিস্তল, কার্তুজ, ২ রাউন্ড গুলি, তিনটি গুলির খোসা ও দেশিয় তৈরি ধারালো অস্ত্র হাসুয়া উদ্ধার করেছে।

ওসি জানান, এ ঘটনায় এসআই রাশেদসহ চারজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। তারা হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।

এদিকে ইবি থানা পুলিশ রোববার শিবপুর কলেজ ছাত্র সাগর সাহা অপি অপহরণ ও হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে শিবপুর ৩নং ওয়ার্ডের মেম্বার নাজমা খাতুনসহ অপর এক নারীকে আটক করেছে। তবে ঘটনার অপর নায়ক শিপন এখনো পলাতক রয়েছেন বলে জানান ওসি।

উল্লেখ্য, ১৬ আগস্ট স্থানীয় হরিণারায়নপুর বাজার থেকে খাতের আলী কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র সাগর সাহা অপহরণ হয়। পরদিন সাগর সাহার বাবা প্রদীব কুমার সাহা এ বিষয়ে ইবি থানায় জিডি করেন।

১৯ আগস্ট তার লাশ উদ্ধার হয়। এরপর এ হত্যার বিচার দাবিতে এলাকাবাসী বিক্ষোভ করেন।