ঘুমালেই নাকডাকা শুরু!

ঘুম হচ্ছে মানব জীবনের সবচেয়ে শান্তির একটি অংশ। সারাদিনের কাজে আপনি যতই ব্যস্ত থাকুন না কেন ঘুম আপনার শরীরে কাজ করবে একদম চার্জারের মতো। সময়ে অসময়ের এই বন্ধু আপনার পাশে থাকে সবসময়। কাজের মাঝেও এর দেখা পাওয়া অসম্ভব কিছু না! তবে এই ঘুমের সাথে নাক ডাকা হতে পারে বিরক্তের কারণ। এই বিরক্তের কারণ আপনি হলেও মজার ব্যপার হচ্ছে আপনি এই বিরক্তির ছিটাফোঁটাও পান না। কারণ ঘুমের মাঝে আপনি যখন নাক ডাকেন তখন আপনার পাশে থাকা মানুষটির ঘুমের বারোটা বাজে। তাই আপনার যদি ঘুমের মাঝে নাক ডাকার অভ্যাস থেকে থাকে তবে তা পরিহার করুন। কারণ আপনার অভ্যাস কারো কাছে বদভ্যাস এবং বিরক্তির কারণ। কিন্তু আপনি যদি নাক ডাকার সঠিক কারণ জানেন এবং তা এড়িয়ে চলেন তবে আপনিও নিজেকে রাখতে পারেন নাক ডাকার গণ্ডির বাইরে।

নাক ডাকার কারণ
মূলত নাক ডাকার এই সমস্যাটি হয়ে থাকে ঘুমের সময়ে আপনার শোয়ার ভঙ্গির কারণে। আপনি যখন আপনার শরীরের সাথে মাথা সামাঞ্জস্য না রেখে ঘুমান তখনই এই নাক ডাকা শুরু হয়। আমাদের নাকের ভেতরে থাকা বাতাস প্রদানকারী টিস্যু আমাদের নিঃশ্বাস নেওয়ার সাথে সাথে আকারে বাড়ে এবং কমে। কিন্তু যখন এই টিস্যুসমূহ সঠিকভাবে প্রসারিত কিংবা সঙ্কুচিত হতে পারে না তখনই চাপা অথবা ভারী নাক ডাকার শব্দ শোনা যায়। এই নাক ডাকারও ধরণ আছে। স্বাভাবিকভাবে আপনি যখন নাক ডাকেন তখন পাশে ঘুমানো মানুষটির সমস্যা হয় না। তবে যদি সমস্যা হয় তবে ধরে নিন আপনি পর্যাপ্ত ঘুমাচ্ছেন না। নয়তো আপনার শ্বাসনালিতে কোনোরূপ সমস্যা দেখা দিয়েছে।

বয়স
বয়সের ওপরও নাকডাকা অনেকাংশে নির্ভর করে। আপনি যখন তরুণ তখন আপনার শরীরের সব অংশ খুব সহজে কাজ করে। কিন্তু যখন বয়স বেড়ে যায় তখন এই নাকের টিস্যুসমূহে বাতাস প্রবাহে বাঁধা পায়। ফলে সৃষ্টি হয় নাক ডাকা।

লিঙ্গ
একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে নারীদের তুলনায় পুরুষেরা নাক তুলনামূলক বেশি ডাকে। এটি মূলত শারীরিক গঠন থেকে শুরু করে কাজের ধরন আর ক্লান্তির উপর নির্ভর করে।

টিস্যুর আকৃতি
শুধু আপনার বয়স আর লিঙ্গ না আপনার নাকের ভেতরে থাকা টিস্যুসমূহ হয়ে থাকে কখনো এই নাক ডাকার কারণ। কিছু টিস্যু তুলনামূলক বড় হয়ে থাকে। আপনি যখন নিঃশ্বাস নেন তখন এটি ফুলে উঠে আর এটি প্রসারিত হতে জায়গা বেশি লাগে। ফলে বাতাস বের হতে পারে না। তখনই নাক ডাকার সৃষ্টি হয়।

ধূমপান
নাক ডাকার আরেকটি কারণ ধূমপান। ধূমপানের কারনে নাকের শ্বাস তন্ত্রে থাকা টিস্যুর মাঝে ফাটলসহ নানা রোগের সৃষ্টি হয়। আর এতেই শুরু হয়ে নাক ডাকা।

যা করতে পারেন:

মুখ বন্ধ করে ঘুমান
অনেকেই মুখ খুলে হা করে ঘুমিয়ে থাকেন। এটি অনেক সময় নাক ডাকার কারণ। তাই এমনভাবে ঘুমান যাতে আপনার মুখ বন্ধ থাকে।

মুখের ভেতরের শুষ্কতা
বার বার মুখ শুঁকিয়ে যাচ্ছে! সমস্যা একখানেও থাকতে পারে। তাই ঘুমানোর আগে পানি পান করে নিন। এটি আপনাকে নাক ডাকা থেকে বিরত রাখতে পারে।

পাশ ফিরে ঘুমানো
একপাশে দীর্ঘ সময় ধরে ঘুমালে এই নাক ডাকা শুরু হতে পারে। তাই নাক ডাকা শুরু হলে পাশে থাকা মানুষটির উচিৎ তাকে ঘুরিয়ে শুইয়ে দেওয়া। এতে নাক ডাকা বন্ধ হয়ে যায়।